ঐন্দ্রিলার সঙ্গে ঐশ্বর্য। ছবি: সংগৃহীত।
২০ নভেম্বর ২০২২ সালে মৃত্যু হয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার। আর কয়েক মাস পরেই এক বছর হবে। এতগুলি মাস ছোট মেয়ের স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে আছেন অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা। তিনিও ক্যানসারে আক্রান্ত। এক দিকে যেমন মা-বাবা প্রতি দিন ছোট মেয়েকে মনে করেন, তেমনই আবার অন্য দিকে ঐন্দ্রিলার দিদিও প্রতি মুহূর্তে মিস করে তাঁর বোনকে। ঐন্দ্রিলার দিদি ঐশ্বর্য পেশায় চিকিৎসক। বোনের মৃত্যুর পর নিজেকে সামলানো কঠিন হলেও মা-বাবার মুখ চেয়ে অনেকটাই নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করেছেন। বোনকে হারানোর শোক কাটিয়ে জীবনে যে পুরনো ছন্দে ফিরতে চাইছেন তিনি, সেটা স্পষ্ট তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে। কয়েক দিন আগেই গিয়েছে গণেশ চতুর্থী। আগে শুধু মহারাষ্ট্রেই ধুমধাম করে পালন করা হত গণেশ পুজো। এখন কলকাতাতেও সবাই ধুমধাম করে আয়োজন করে গণেশপুজোর। সেই পুজোতেই বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করতে দেখা গেল ঐন্দ্রিলার দিদিকে।
এখন কলকাতারই একটি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ঐশ্বর্য। রোগীকে চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি এখন ইউটিউব চ্যানেলও চালান। প্রতি দিনের নানা ধরনের কাজের সঙ্গে ভিডিয়োও করতে থাকেন তিনি। বোনকে হারানোর পর এমনিতেই বাড়িতে সারা ক্ষণ মন খারাপের পরিবেশ। তাই সব দুঃখ কাটিয়ে মনকে ভাল রাখতে নিজেকে নানা কাজে যুক্ত রাখেন ঐশ্বর্য। গণেশ পুজোর বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানেই এক জন মন্তব্য করেছেন, “সবাই আছে। খালি এই ছবিতে এক জন নেই।”
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে মরণোত্তর সম্মান দেওয়া হয়েছে ঐন্দ্রিলাকে। এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে ঐন্দ্রিলার মা বলেন, “পুরস্কার নিতে একটুও ভাল লাগেনি। এটা কি মরণোত্তর সম্মান পাওয়ার বয়স আমার মেয়েটার? খুব কষ্ট হচ্ছে। এমন সম্মান তো মঞ্চে উঠে ওর ছেলেমেয়ের নিতে যাওয়ার কথা ওর বয়সকালে। সেখানে আমাদের নিতে হল। এই কষ্টটা যে কী করে কমবে, কিছুতেই বুঝতে পারছি না। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিকতার জবাব নেই।” আপাতত ছোট মেয়েকে ছাড়াই নিজেদের গোছানোর চেষ্টায় শর্মা পরিবার।