লতা মঙ্গেশকর স্মরণে শ্রেয়া ঘোষাল।
লতা মঙ্গেশকর নেই। কাঁদছেন শ্রেয়া ঘোষাল! শনিবার রাত থেকে আনন্দবাজার অনলাইন তাঁকে ফোনে ধরার চেষ্টা করেছে। শ্রেয়ার ফোন বেজে গিয়েছে। ‘কোকিল কণ্ঠী’র ‘ছায়া’ নীরব। ‘আশিকী ২’-এ নিজের গাওয়া গান যে এ ভাবে বাস্তব হবে, গায়িকা বোধ হয় ঘুণাক্ষরেও টের পাননি! আপাতত নিজের গানই তাঁর মনের ভাব প্রকাশের এক মাত্র মাধ্যম। সেই কথাই রবিবার গভীর রাতে তিনি যেন বলতে চেয়েছেন ইনস্টাগ্রামে, ‘শুন রহা হ্যায় তু... রো রহি হুঁ ম্যায়!’ তাঁর লম্বা পোস্টে লতাকে 'মা' বলে সম্বোধন করেছেন শ্রেয়া।
যে দিন থেকে তাঁর কণ্ঠ দেশ শুনেছে সে দিন থেকেই তিনি দেশবাসীর কাছে লতা মঙ্গেশকরের ‘ছায়া’। ছায়াছবির গান হোক বা আধুনিক, হিন্দি হোক বা বাংলা, সব গানেই তিনি ‘আধুনিক লতা’। ত। যত ক্ষণ না নিখুঁত ভাবে তাঁর গান শ্রেয়া তুলতে পারতেন তত ক্ষণ গায়িকার মা তাঁকে বারবার টেপ রেকর্ডার চালিয়ে শোনাতেন। এ ভাবেই লতা মঙ্গেশকর শ্রেয়ার জীবনে হয়ে উঠেছিলেন গানের শিক্ষক!
শ্রেয়ার মনে পড়েছে, ছেলেবেলায় তিনি প্রথম গেয়েছিলেন লতাজির গাওয়া ‘হায় জিয়া রোয়ে’। প্রতিযোগিতায় সবার নজর কেড়েছিলেন, লতাজির ‘শুনিয়ো জি’ শুনিয়ে। অডিশনে উত্তীর্ণ হতে সাহায্য করেছিল কিন্নকণ্ঠীর গাওয়া ‘জীবন ডোর তুমহি সং’ গানটি। লতাজি নেই। এ কথাটি বুঝতেও তাঁকে আশ্রয় নিতে হয়েছে তাঁরই গানে। নিজের পছন্দের একের পর এক গান তিনি শুনছেন। আর নতুন করে আবিষ্কার করছেন তাঁর মা লতাকে। তাঁর গান গেয়ে প্রতিযোগিতা জেতার পরেই যিনি আশীর্বাদে ভরিয়ে দিয়েছিলেন শ্রেয়াকে।