সুশান্ত সিংহ রাজপুত-কৃতি শ্যানন। ছবি: সংগৃহীত।
এই প্রজন্মের অন্যতম নজজকাড়া অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। অভিনয় জীবন দশ বছরে পড়ল কৃতি্র। শুধু অভিনয় নয়, এর মধ্যে নিজের আরও এক পরিচিতি তৈরি করার দিকে পা বাড়িয়েছেন তিনি। সদ্য নিজের প্রযোজনা সংস্থার কথা ঘোষণা করেন অভিনেত্রী। বোন নুপুর শ্যাননের সঙ্গে একজোটে ‘ব্লু বাটারফ্লাই’ নামের প্রযোজনা সংস্থা খুললেন নায়িকা। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর প্রযোজনা সংস্থার নামের সঙ্গে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের যোগ খুঁজে পেয়েছেন অনুরাগীরা। সত্যিটা কী, জানালেন কৃতি নিজেই?
প্রায় একই সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা শুরু করেন সুশান্ত ও কৃতি। দারুণ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল তাঁদের মধ্যে এক সময়। যখন-তখন আড্ডা, একে অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া সুখ-দুঃখ, ছবির সাফল্য থেকে ব্যর্থতা নিয়ে অকপট আলোচনা— সবটাই চলত নিয়মিত। তাঁরা একসঙ্গে ‘রাবতা’ নামের একটি ছবিও করেন। যদিও ছবিটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। বরাবরই সুশান্তের প্রতি তাঁর ভাল লাগার কথা রাখঢাক না করেই বলেছেন কৃতি। প্রিয় বন্ধু সুশান্তের শেষকৃত্যের দিনও সব কাজ মেটা পর্যন্ত ঠাঁয় দাড়িয়ে ছিলেন তিনি। সুশান্ত চলে যাওয়ার পরও বিভিন্ন সময় আবেগতাড়িত হয়েছেন অভিনেত্রী সুশান্ত প্রসঙ্গে।
কৃতি্র প্রযোজনা সংস্থা ‘ব্লু বাটারফ্লাই’ নামের সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন সুশান্ত। কারণ সমাজমাধ্যমের পাতায় সুশান্ত সব থেকে বেশি এই ইমোজি ব্যবহার করতেন। যার অর্থ— যা কিছু অনিবার্য, যাকে বিশ্বাস করা যায়, এর সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বিজ্ঞানও। আর সেই ইমোজি থেকেই কৃতির সংস্থার এমন নামকরণ, অনুমান অনুরাগীদের। তবে এই নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে এ বার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন কৃতি। তিনি বলেন, ‘‘প্রজাপতি আমার খুব পছন্দ। পাশাপাশি, নীল রং আমার বড্ড প্রিয়। আমার ইনস্টা বায়োতেও দীর্ঘ দিন ধরে প্রজাপতি রয়েছে। আমি কমেন্ট করার সময়ও এই ইমোজি ব্যবহার করি। কবিতা লেখার সময়ও ওই চিহ্ন ব্যবহার করে থাকি।’’ এ ছাড়াও অভিনেত্রী তাঁর অভিনয় সফরের সঙ্গে পিউপা থেকে পূর্ণাঙ্গ প্রজপতি হয়ে ওঠার তুলনা টেনেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আসলে প্রজপতির মতো মন্থর গতিতেই জীবনের সেরাটা হয়ে ওঠা যায়। আমিও প্রতিদিন নতুন কিছু শিখেছি। তাই আমার সফরটাও প্রজাপতির মতো। প্রতিটা মানুষের জীবনেই সংঘর্ষ রয়েছে। আর এই সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে আমারা আমাদের সেরা পর্যায়ে পৌঁছতে পারি। আসলে প্রজাপতি এখানে রূপকের মতো।’’