নায়িকা শ্যামা (তিয়াসা রায়) এবং নিখিল (নীল ভট্টাচার্য)। নিজস্ব চিত্র।
টিআরপি তালিকায়‘কৃষ্ণকলি’ পিছিয়ে পড়েছিল প্রায় পাঁচ সপ্তাহ।শেষ ছ’সপ্তাহ টিআরপি তালিকায় স্লট লিডারশিপ হারাতে বসেছিল ধারাবাহিকটি। বৃহস্পতিবারপ্রকাশিত রেটিং তালিকায় হারানো জমি অনেকটাই পুনরুদ্ধার করেছে ‘কৃষ্ণকলি’। এই উত্থান-পতনের কারণ কী?
ধারাবাহিকের নায়িকা শ্যামা (তিয়াসা রায়) বলছেন, “অনেককিছু তো গল্পের উপরেও নির্ভর করে। হয়তো দর্শকের মনে হচ্ছিল আমাদের থেকে অন্য সিরিয়ালগুলো বেটার করছিল কিংবা হয়তো দর্শক ‘কৃষ্ণকলি’-কে পছন্দ করছিল না। কিন্তু ‘কৃষ্ণকলি’ সবার ভালবাসা টেনে নিচ্ছে আস্তে আস্তে।”
নিখিল (নীল ভট্টাচার্য) ও শ্যামার যাবতীয় সম্পত্তি কেড়ে নিয়েছেআদিত্য চৌধুরী (রাজীব বসু)। শ্যামা সেগুলো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এদিকে নিখিলের মাথায় আঘাত করে আদিত্য, পুড়িয়ে দেয় তার মশলার কারখানা। ফলেমানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে নিখিল। শ্যামা একা হয়ে পড়ে। নিখিলের বাবা বসন্ত চৌধুরীও (শঙ্কর চক্রবর্তী) শ্যামাকে সঙ্গ দেয় না। শ্যামা ও মেজদা অশোক (বিভান ঘোষ) মাড়োয়াড়ির ছদ্মবেশে আদিত্য’র কাছ থেকে নিজেদের সম্পত্তির দলিল দখল করতে সক্ষম হয়। কিন্তু আদিত্য তাদের ছদ্মবেশ ধরে ফেলে। শ্যামারা আটকে পড়ে আদিত্য’র ডেরায়। শ্যামা কি পারবে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে?
গল্পের এই টুইস্ট ‘শ্রীময়ী’কে পিছনে ফেলে ‘কৃষ্ণকলি’কে পৌঁছে দিয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
আরও পড়ুন-সন্তান কোলে নিক-প্রিয়ঙ্কা? ‘নিয়াঙ্কা’ ফ্যানক্লাবের পোস্টে হইচই
আরও পড়ুন-টিআরপি তালিকার শীর্ষে যৌথ ভাবে ‘ত্রিনয়নী’ ও ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’
কেন? ধারাবাহিকের পরিচালক বিজয় মাজি তিয়াসার ব্যাখ্যারই প্রতিধ্বনি করলেন, “প্রায় এক বছর কন্টিনিউ এক নম্বরে থাকার পর যখন সেই জায়গাটা হারিয়ে যায় ডেফিনিটলি তার একটা কষ্ট থাকে। আমাদের গল্পতে দর্শক হয়তো মনে করেছিল নেগেটিভিটি আছে। দর্শক নেগেটিভিটি দেখতে পছন্দ করে না। এন্ড অব দ্য ডে ‘দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন’, যেটা চিরায়ত সত্য সেটাই দেখতে পছন্দ করে।আদিত্যর গল্পটা বড় ছিল। গল্পটার শেষে পৌঁছতে দেরি হয়েছে। সেজন্যই দর্শক হয়তো মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। আমাদের বিশ্বাস ছিল, চলতি গল্পের শেষের দিকে দর্শক ফিরবে। সেটাই হয়েছে।”
গল্পের নায়ক নিখিল যোগ করলেন, “টিআরপি বাড়লে, হার্ড ওয়ার্ক অ্যাপ্রিসিয়েটেড হলে ভাল লাগে। সবাই আরও মোটিভেশন নিয়ে কাজ করছি, আরও বেটার করার চেষ্টা করছি।”
তিয়াসা উচ্ছ্বসিত
মাঝখানে পিছিয়ে পড়ার সময়টা তাহলে হার্ডওয়ার্ক ছিল না? নীল বললেন, “এটা তো না যে শুধু আমরাই হার্ডওয়ার্ক করি আর অন্যরা করে না। সবাই হার্ডওয়ার্ক করে। যখন যাদের ক্লিক করে আরকি।”
তালিকায় দ্বিতীয় হয়ে কেমন লাগছে? তিয়াসা উচ্ছ্বসিত, “খুব ভাল লাগছে। আমাদের পুরনো জায়গা আবার আস্তে আস্তে ফিরে পাচ্ছি। মন দিয়ে কাজ করছি যেন আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারি। আজ আমাদের হোল নাইট শুটিং। কিন্তু সারা রাত শুট করতে আমাদের কোনও দুঃখ নেই।”
‘কৃষ্ণকলি’-র এতদিনের প্রতিযোগী ছিল ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’। এখন সেই তালিকায় ‘ত্রিনয়নী’ এবং ‘শ্রীময়ী’ও আছে। নীল বললেন, “যে কোনও জায়গায় হেলদি কম্পিটিশন হওয়াটা ভীষণ ইম্পর্ট্যান্ট। সবাই ভাল করছে,সবাই নিজেদের বেস্ট-টা ট্রাই করছে। সেরকম আমরাও বেস্ট ট্রাই করছি।”