Kirti kulhari

কালো লম্বা চুল কুচিয়ে মিলিটারি ছাঁট! ইন্ডাস্ট্রিকে কাঁচকলা দেখিয়ে মুক্তির আনন্দে কীর্তি

চেহারাবদলের ছবিতে নতুন বার্তা অভিনেত্রী কীর্তি কুলহারির। শুধু চরিত্রে নয়, বাস্তবেও শক্তিশালী হয়ে ওঠার আনন্দ উপভোগ করতে চান তিনি। তাই নিজেকেই দিলেন উপহার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৩ ১১:২৩
Share:

৫ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনে ব্যক্তিগত জীবনেও নিজের মতো থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেত্রী। ছবি—সংগৃহীত

লম্বা চুল কাটিয়ে একেবারে মিলিটারি ছাঁট দিয়ে ফেলেছেন বলিউড অভিনেত্রী কীর্তি কুলহারি। ১৫ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন। তাঁর একঢাল কালো চুলের সৌন্দর্যেই অভ্যস্ত ছিলেন অনুরাগীরা। হঠাৎ তাঁর নতুন মূর্তিতে তাজ্জব সকলে। কোনও ছবির চরিত্রের জন্যই কি রূপবদল? কীর্তি নিজেই বিষয়টি খোলসা করলেন সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে।

Advertisement

গলাবন্ধ নীল টিশার্ট পরে কীর্তি ক্যামেরার সামনে এসে জানালেন, কোনও ছবির জন্য এই ভোলবদল নয়। করেছেন নিজের জন্যই। নিজেকে আরও বেশি ক্ষমতাশালী মনে হচ্ছে তাঁর ছোট চুলেই। যেন মুক্তির হাওয়া লাগছে তাঁর ঘাড়ে, মাথায়।

ইনস্টাগ্রাম রিলে কীর্তি তাঁর নতুন চেহারায় নিজের একটি ভিডিয়ো মন্তাজ শেয়ার করেছেন। এটির ক্যাপশনে লিখেছেন, “নতুন সমাপ্তি, নতুন শুরু। এক মাস আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এ বার করেও ফেলেছি।”

Advertisement

ইন্ডাস্ট্রিতে নায়িকা হতে গেলে ঘন লম্বা চুল, অন্তত কাঁধ অবধি থাকা বাঞ্ছনীয়। রয়েছে আরও নানা বিধিনিষেধ। সে সবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কীর্তি লিখলেন, “আমি যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করি সেখানে নায়িকাদের প্রচুর বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে ১৫ বছর অভিনয়ে থাকার পর দেখুন, আমি নিজের মতো করে চলছি। সেই স্বাধীনতা নেই আসলে। কিন্তু যত বার নিয়মের বিরুদ্ধে যাই, আমার শক্তি বেড়ে যায়।”

কীর্তির অকপট উক্তি, “আমি নিজের মতো করে নিজের পছন্দে বাঁচতে চাই। এ ভাবেই।”

২০২১ সালের এপ্রিল মাসে প্রাক্তন স্বামী সাহিল সেহগলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন কীর্তি। ৫ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনে ব্যক্তিগত জীবনেও নিজের মতো থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেত্রী। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানকে এ সমাজ অকারণে অধিক গুরুত্ব দেয়, এতে মহান কিছু দেখেন না কীর্তি।

‘ফোর মোর শটস প্লিজ়’-এর মতো জনপ্রিয় সিরিজেও কীর্তিকে বলিষ্ঠ নারী চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। পেশায় আইনজীবী সেই চরিত্রও বিয়ে ভেঙে একা মা হিসাবে তার সন্তানকে বড় করে। নানাবিধ প্রতিকূলতার মধ্যে দিনযাপন, যাতে পাশে থাকে অন্য লড়াকু নারীরাও। বিয়ে নিয়ে নানা জটিলতা এবং সংশয়ের প্রসঙ্গে কীর্তি বলেন, “সামাজিক কাঠামোর দিক থেকে বিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হয়তো, কিন্তু দু’জন মানুষের মধ্যে বিয়েটা হয়। তাঁদের হৃদয় সংযুক্ত থাকা জরুরি সবার আগে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement