‘দাবাড়ু’ ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে ঈর্ষার চোরাস্রোত নিয়ে সবাই অল্পবিস্তর জানেন। কিন্তু একজন শিল্পীর কাজকে সমর্থন করে তাঁর পাশে থাকার নমুনাও কমতি নেই।
তেমনই এক ঘটনা ঘটল সদ্য বাংলার সিনেমাপাড়ায়। পথিকৃৎ বসুর ‘দাবাড়ু’ ছবির ঝলক দেখে প্রশংসায় মজলেন চিত্র পরিচালনায় তাঁর অগ্রজ কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার সকালে সমাজমাধ্যমে তিনি লিখলেন, “ধারাবাহিক ভাবে সরল শৈশব ও কৈশোর জীবন ও তার ভালবাসার কথা একমাত্র বলে চলেছে উইন্ডোজ়!”
উদাহরণ হিসাবে ‘হামি’, ‘রসগোল্লা’, ‘লক্ষ্মী ছেলে’, ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’, ‘রামধনু’, ‘পোস্ত’ ছবির কথা তুলে ধরলেন পরিচালক। তাঁর কথায়, “কোনও এক পবিত্র দায়িত্ব ওদের মনে গেঁথে আছে, তার জন্যই এমন ছবি বার বার তৈরি হচ্ছে!”
সকালে ঘুম থেকে উঠেই কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পোস্টটি পথিকৃতের নজরে এসেছে। কৌশিক লিখেছেন, “কিস্তিমাত দিক পথিকৃতের ছবি”, প্রথম সারির পরিচালকের থেকে এমন প্রশংসা পেয়ে কী বললেন পথিকৃৎ বসু?
“গতকাল কৌশিকদার সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমাকে বললেন, ‘ছবি যা-ই হোক, প্রিমিয়ারে আসছি আমি।’ আজ পোস্ট দেখলাম। ভাবিনি এতটা সমর্থন পাব কৌশিকদার থেকে,” আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন পথিকৃৎ। তবে কৌশিকের এই প্রশংসার অনেকটা জুড়ে রয়েছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সরল স্বীকারোক্তি পথিকৃতের। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে ঈর্ষার বিষয়টি মানতে নারাজ নতুন প্রজন্মের এই পরিচালক। তাঁর মতে, বর্তমানে ভাল ছবি হলে সকলেই পাশে থাকেন। কুর্ণিশ জানিয়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও। সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, পেশাদার দাবাড়ুর প্রেক্ষাপটে তৈরি প্রথম ছবি।
উত্তর কলকাতার মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে যাবতীয় প্রতিকূলতাকে জয় করে সূর্য কী ভাবে পেশাদার দাবাড়ু হয়ে ওঠেন, তা এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলায় ক্রীড়াবিষয়ক ছবির ক্ষেত্রে এই প্রথম দাবার প্রেক্ষাপটে কোনও ছবি তৈরি হয়েছে। ছবিতে সূর্যের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্ঘ্য বসু রায়। সূর্যের অভিভাবকের চরিত্রে রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও শঙ্কর চক্রবর্তী। অন্য দিকে সূর্যের কোচের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।