নিজের বাড়িতে ফিরলেন করিনা। ছবি: সংগৃহীত।
ফের ছন্দে ফিরছে সইফ-করিনার পরিবার। গত বুধবার মধ্যরাতে তাঁদের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ। গত সপ্তাহেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। পুলিশের কাছে শরিফুল স্বীকার করেছেন, তিনিই সেই রাতে সইফের উপর হামলা করেন। জানা গিয়েছে, চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই সইফের বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সইফকে। তাঁর শিরদাঁড়ায় গেঁথে ছিল আড়াই ইঞ্চি মাপের একটি ছুরির অংশ। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বার করা হয় সেই ছুরি। এই অবস্থায় দিদি করিশ্মা কপূরের বাড়িতে গিয়ে উঠেছিলেন করিনা কপূর ও তাঁর দুই সন্তান তৈমুর ও জেহ্। অবশেষে সোমবার দুপুরে নিজেদের বাড়ি, অর্থাৎ ‘সৎগুরু শরণ’-এ ফিরলেন করিনা। বাড়ি ফেরার আগে সইফকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
শোনা যাচ্ছে, আগামী দু’-এক দিনের মধ্যে সইফকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তার আগেই দুই সন্তানকে নিয়ে নিজের সংসারে ফিরেছেন করিনা। অভিনেত্রী বলেছিলেন, “ঘটনার পরে আমি খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তাই করিশ্মা এসে আমাকে নিয়ে যায়।”
জানা যাচ্ছে, সময় মতো সঠিক চিকিৎসা পাওয়ায় দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন সইফ আলি খান। অন্য দিনের মতো সোমবার সকালেও ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যান শর্মিলা ঠাকুর।
হামলার রাতে বছর আটেকের তৈমুরই রক্তাক্ত সইফকে অটোয় করে হাসপাতালে নিয়ে আসে! সঙ্গে ছিলেন বাড়ির এক পরিচারক। খবর ছড়াতেই তড়িঘড়ি বাবাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন তাঁর আরও দুই সন্তান সারা আলি খান এবং ইব্রাহিম আলি খান।