হবু স্ত্রী দৃশা আচার্যের সঙ্গে কর্ণ দেওল। —ফাইল চিত্র
মুম্বইয়ের দেওল বাড়িতে এখন জমকালো উৎসব। বিয়ের সানাই বাজছে। সাজ সাজ রব। ববি, সানি, অভয়— তিন অভিনেতা ভাইকেই দেখা যাচ্ছে সেখানে। ভিডিয়ো, ছবিতে ভরে গিয়েছে সমাজমাধ্যম। অভিনেতা সানি দেওলের ছেলে কর্ণ দেওল গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন চিত্র পরিচালক বিমল রায়ের নাতনি দৃশা আচার্যের সঙ্গে। প্রাক্বিবাহ অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। মেহেন্দির দিন বিশেষ মজা! নিজের হাতে কার নাম লেখালেন কর্ণ?
অবশ্যই হবু স্ত্রী দৃশার নাম। হাতের তালুতে জ্বলজ্বল করছে সেটি। আগামী ১৬ জুন মুম্বইয়ের বুকে দীর্ঘ দিনের প্রেমিকার গলায় মালা দিতে চলেছেন কর্ণ। বৃহস্পতিবার মেহেন্দির উৎসবে তারাদের হাট বসেছিল। সোনালি রঙের কুর্তায় সেজেছিলেন কর্ণ। গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে ছেঁকে ধরেন আলকচিত্রীরা। তখনই ক্যামেরায় ধরা পড়ে কর্ণের হাতের মেহেন্দিতে দৃশার নাম। কর্ণের বাবা সানির হাতেও অন্য রকম মেহেন্দির নকশা দেখা গেল। সেখানে নানা ধর্মীয় চিহ্ন আঁকা। দেওল বাড়ির ফটকের বাইরেই ঢোল বাজাচ্ছিলেন বাদ্যশিল্পীরা। সব মিলিয়ে দারুণ আবহ।
কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বিয়ের পর কর্ণ নাকি তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকবেন। দৃশাও থেকে যাবেন শ্বশুরবাড়িতে! এখনকার সময়ে এই ধরনের ঘটনা প্রায় বিরল। তা নিয়েও নেটদুনিয়ায় চর্চা তুঙ্গে। রণবীর এবং শ্রদ্ধা কপূর অভিনীত ‘তু ঝুটি ম্যায় মক্কর’ ছবি থেকেই কি অনুপ্রেরণা পেলেন কর্ণ? ‘মিকি’ চরিত্রের বাস্তব সংস্করণ যে! বলছেন নেটাগরিকরা। এর আগে এক বার কর্ণ জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা সব সময়ে তাঁকে হারানোর ভয় পান। বিয়ের পর আলাদা হয়ে গেলে বাবা-মা খুব কষ্ট পাবেন, এই মনে করেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কর্ণের। তাঁর প্রেমিকা দৃশার এতে কোনও আপত্তি নেই। পারিবারিক মূল্যবোধ এবং বন্ধন তাঁর কাছে সবার আগে। তাই স্বামীর পরিবারের সঙ্গেই থাকার কথা স্থির করেছেন তিনিও।
কর্ণ এবং দিশার পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। শোনা গিয়েছিল, ধর্মেন্দ্র এবং প্রকাশ কউরের বিবাহবার্ষিকীতে বাগ্দান হয় কর্ণ-দিশার। ২০১৯ সালে ‘পল পল দিল কে পাস’ ছবিটি দিয়ে অভিনয়ে আসেন কর্ণ। ২০২১ সালে ‘ভেলি’ ছবিতে অভিনয় করেন তাঁর কাকা অভয় দেওলের সঙ্গে। ছবিতে ছিলেন মৌনী রায়ও। এর পর কর্ণকে দেখা যাবে ‘আপনে ২’ ছবিতে। ধর্মেন্দ্র, সানি এবং ববির সঙ্গে কর্ণ— পরিবারের চার জন অভিনয় করবেন এই ছবিতে।