অবসাদে ভুগতে ভুগতে মদে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন কপিল। ওই অন্ধকার সময় থেকে বেরতে তাঁকে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছিলেন কে? — ফাইল চিত্র।
প্রায় উল্কার গতিতে উত্থান তাঁর। রিয়্যালিটি শোয়ের প্রতিযোগিতার গণ্ডি পেরিয়ে নিজের দক্ষতায় টেলিভিশনে নতুন কমেডি শোয়ের হাত ধরে পথ চলা শুরু কপিল শর্মার। তার পর আর ঘুরে তাকাতে হয়নি সেই সময়ের ছোট পর্দার জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতাকে। খুব কম সময়ের মধ্যেই দর্শকের ড্রয়িং রুম থেকে তাঁদের মনে জায়গা করে নেন কপিল। তবে, সেই সুসময় খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। বছর খানেক পরেই সাফল্য মাথায় চেপে বসে তাঁর। একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন কপিল। অবসাদে ভুগতে ভুগতে মদে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন কপিল। ওই অন্ধকার সময় থেকে বেরতে তাঁকে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছিলেন কে? প্রশ্নের উত্তর দিলেন কপিল। জানালেন, স্ত্রী গিন্নি চত্রথ না থাকলে উঠে দাঁড়াতে পারতেন না তিনি।
সদ্য মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি ‘জ়ুইগ্যাটো’। নন্দিতা দাস পরিচালিত এই ছবি স্বীকৃতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরে। গত ১৭ মার্চ ভারতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল ছবি। ছবির প্রচারের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে কর্মজীবনের সেই অন্ধকার সময়ের কথা মনে করে কপিল বলেন, ‘‘মদের নেশা আর অবসাদে আমার কেরিয়ার প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছিল। গিন্নি খুব ভাল পরিবারের মেয়ে, কিন্তু ওর পরিবার পুরনো ঘরানার পঞ্জাবি পরিবার। বিয়ের আগে ও আমাকে মুম্বই থেকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিল।’’ কপিল আরও বলেন, ‘‘গিন্নি বলেছিল, ‘আমাদের বিয়ে হবে কি না, তা আমি জানি না। তুমি সুস্থ হয়ে গেলে আমি তার পর ফিরে যাব।’ এটা বলতে অনেক সাহস লাগে।’’ স্ত্রী পাশে থাকার ফলেই ওই অন্ধকার সময় থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন তিনি, অকপট কপিল শর্মা।
শুধু স্ত্রীই নন, শাহরুখ খানও তাঁকে অনেক সাহায্য করেছিলেন, জানান কপিল। কপিল জানান, বলিউডের ‘বাদশা’ তাঁকে গাড়িতে তুলে এক ঘণ্টার সফরে নিয়ে গিয়েছিলেন। গোটা রাস্তা বুঝিয়েছেন, অবসাদ পুষে রাখা ঠিক নয়। এমনকি অমিতাভের সামনেও মদ্যপ অবস্থায় চলে গিয়েছিলেন কপিল। পরে সম্বিৎ ফিরলে বিগ বির কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি।