আর কোনও লুকোচুরি নয়। আদিত্য পাঞ্চোলির সঙ্গে যে সত্যিই কঙ্গনা রানাওয়াতের সম্পর্ক ছিল তা নিয়ে এ বার মুখ খুললেন আদিত্যর স্ত্রী জারিনা ওয়াহাব। বিস্ফোরক জারিনার দাবি, “কঙ্গনা আমার স্বামীর সঙ্গে সাড়ে চার বছর ধরে ডেট করেছিল। ওকে আমি মেয়ের মতো ভাবব কী ভাবে? অসম্ভব!’’ পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সম্প্রতি এই দাবি করেছেন জারিনা।
বেশ কয়েক দিন আগে, নিজের ১৭ বছর বয়সে বাবার বয়সী একজনের কাছে শারীরিক ভাবে হেনস্থা হওয়ার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন কঙ্গনা। তখন সরাসরি কারও নাম না বললেও সম্প্রতি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আদিত্য পাঞ্চোলির দিকে। সে সময় নাকি আদিত্যর স্ত্রী জারিনার কাছে সাহায্যের জন্যও গিয়েছিলেন কঙ্গনা। কিন্তু জারিন নাকি তাঁকে ফিরিয়ে দেন। কঙ্গনার কথায়, “আমি ওর মেয়ের থেকেও এক বছরের ছোট ছিলাম। আমি ওর স্ত্রীয়ের কাছে গিয়ে বলেছিলাম, আমাকে বাঁচান। কারণ এতটাই ছোট ছিলাম যে আমার সঙ্গে যা ঘটেছিল তা বাবা-মাকেও বলতে পারিনি।” কিন্তু জারিন সে সময় তাঁকে কোনও সাহায্য করেননি বলে অভিযোগ করেন কঙ্গনা। এর পর বাধ্য হয়ে কঙ্গনা পুলিশের সাহায্য চেয়েছিলেন। সে সময় শুধুমাত্র সতর্ক করেই নাকি আদিত্যকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন, ফাঁকা ফ্ল্যাটে আদিত্যকে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন কঙ্গনা!
এ প্রসঙ্গে জারিনা বলেন, “কঙ্গনার সঙ্গে আমার বেশ কয়েক বার দেখা হয়েছে। কারণ আদিত্য চেয়েছিল আমি ওকে সঞ্জয় লীলা ভংসালীর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিই। আমি সেটাই করেছিলাম। কিন্তু ও আমার বাড়িতে এলে আমার খারাপ লাগত, এটা ওকে বলব কেন? আমার সমস্যা নিয়ে আমার বোনের সঙ্গেই কখনও আলোচনা করিনি। কঙ্গনা কে? যে ওকে বলতে হবে!’’
যদিও কঙ্গনার অভিযোগ আগেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জারিনার এক বন্ধু। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানান, কঙ্গনা নাকি কখনই জারিনার কাছে আদিত্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি। কখনও কোনও সাহায্যের জন্যও যাননি। কঙ্গনা সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ করছেন বলে দাবি করেছিলেন জারিনার ওই বন্ধু। তিনি বলেন, ‘‘কঙ্গনা প্রথম মুম্বইতে যাওয়ার পর জারিনা তাঁকে নিজের মেয়ের মতো যত্ন নিতেন। একটি ফাঁকা ফ্ল্যাটের চাবিও দিয়ে দেন। তার ‘বিনিময়ে’ জারিনার স্বামী আদিত্য পাঞ্চোলির সঙ্গে ও বেরিয়ে যায়। এটাই ওর সৌজন্য! আর এখন জারিনার বিরুদ্ধেও কথা বলছেন কঙ্গনা।”
আরও পড়ুন, কঙ্গনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি পাঞ্চোলির
তবে কঙ্গনার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা আইনি পদক্ষেপের হুঙ্কার ছেড়েছিলেন আদিত্য। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ওর মানসিক সমস্যা আছে। তা না হলে কেউ এ ভাবে কথা বলে? এত দিন ইন্ডাস্ট্রিতে আছি, কেউ কখনও আমার বিরুদ্ধে কিছু বলেনি। ওর সব অভিযোগ মিথ্যে। আমি ও আমার স্ত্রী ওর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করব।’’ আদিত্যর সেই বক্তব্য নিয়ে যদিও মুখ খোলেননি জারিন।