উত্তর-পূর্বের ফাঁকা প্রান্তরে একগুচ্ছ রঙিন ছবিতে ধরা দিল ‘ইমার্জেন্সি’ শুটিংয়ের টুকরো টুকরো মুহূর্ত। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লি থেকে অসম-জোরকদমে চলছে ‘ইমার্জেন্সি’-র কাজ। পরিচালক যখন কঙ্গনা রানাউত, সেটের পরিবেশ সব সময় জমজমাট। অসুস্থ হয়ে পড়লেও হাতে স্যালাইনের চ্যানেল নিয়ে শুটিংয়ে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সব মিলিয়ে গত কয়েক মাসে অনেকটাই এগিয়েছে কাজ। জানা গিয়েছে, অসমে শুটিংয়ের কাজ শেষ। এ বার গন্তব্য কোথায়, তা এখনও জানা যায়নি। উত্তর-পূর্বের ফাঁকা প্রান্তরে একগুচ্ছ রঙিন ছবিতে ধরা দিল ‘ইমার্জেন্সি ’ শুটিংয়ের টুকরো টুকরো মুহূর্ত। ছবি ভাগ করে নিয়ে কঙ্গনা লিখলেন, “কিছু ছবি দিলাম ‘ইমার্জেন্সি’-র অসম শিডিউল থেকে।” কত যে আনন্দ করেছেন দলবল নিয়ে, তা ছবিগুলিতেই স্পষ্ট।
উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরা শুটিং দেখতে এসেছিলেন কেউ কেউ। বাকিরা সমাজমাধ্যমেই ছবির নীচে ভালবাসা উজাড় করে লিখলেন, “অসমে আসার জন্য ধন্যবাদ।” আবার কেউ কঙ্গনাকে উদ্দেশে লিখলেন, “তোমায় ভালবাসি, ‘কুইন’। শ্রদ্ধা করি। খুব ভাল হোক।”
পটভূমি ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল। ইন্দিরা গান্ধীর শাসনকালে জরুরি অবস্থার কিছুটা সময় তুলে ধরা হবে ‘ইমারজেন্সি’-তে। কঙ্গনা নিজেই সেখানে ইন্দিরা গান্ধীর ভুমিকায়। প্রস্থেটিক মেক আপে তাঁর চেহারা হুবহু ইন্দিরার মতো দেখে চমকে উঠেছিলেন দর্শক। ঝলক প্রকাশ পেয়েছিল অন্যান্য ঐতিহাসিক চরিত্রেরও।
প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন শ্রেয়স তলপড়ে। বিপ্লবী নেতা জে পি নারায়ণের চরিত্রে অনুপম খের। সংস্কৃতি কর্মীর ভূমিকায় দেখা যাবে মহিমা চৌধুরীকে। মোটের উপর ‘ইমার্জেন্সি’ বড় সফর। কঙ্গনার পেশাদার জীবনেও একক পরিচালনায় বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে এই ছবি।