ফটোশুটে নায়িকা।— ফাইল চিত্র।
তিনটি জাতীয় পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। হিমাচল প্রদেশের ছোট্ট শহরের মেয়েটিকে এখন একডাকে চেনেন বলি-মহল। কিন্তু শুরুর দিনগুলো এত সহজ ছিল না। বরং স্ট্রাগলিং পিরিয়ডে পদে পদে অসুবিধেয় ফেলা হয়েছিল তাঁকে। তিনি কঙ্গনা রানাওয়াত। এ বার মুখ খুললেন তাঁর ফেলে আসা অপমান নিয়ে।
২০০৬। ‘গ্যাংস্টার’-এ ইমরান হাসমি এবং শাইনি আহুজার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করে বলিউড ডেবিউ করেন কঙ্গনা। স্টাইল কাকে বলে জানতেন না, সমস্যা ছিল ইংরেজি ভাষা নিয়েও। যেখানেই যেতেন লোকে তাঁকে নিয়ে মজা করতেন। কিন্তু কখনও নিজস্বতা ছেড়ে বেরিয়ে আসেননি নায়িকা।
কঙ্গনার কথায়, ‘‘যেখানে আমি জন্মেছি তা নিয়ে কোনও লজ্জা নেই আমার। আমি ছোট শহরের মেয়ে বলে অনেকে আমাকে অপমান করার চেষ্টা করেছে, লজ্জায় ফেলেছে। ইংরেজি বলতে পারতাম না, ঠিক মতো ড্রেস করতে জানতাম না। কিন্তু সব সময় আমি নিজস্বতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি।’’
কঙ্গনার মতে, মেয়েদের প্রথমে নিজের উপর বিশ্বাস রাখা উচিত। মনে করা উচিত তাঁরা ছেলেদের সমকক্ষ। একা কেউ বাঁচতে পারে না। কিন্তু একক চিন্তাভাবনা দিয়ে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে হবে।
‘কাট্টি বাট্টি’তে শেষবার বড়পর্দায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। হাতে রয়েছে ‘রঙ্গুন’। বিশাল ভরদ্বাজের পরিচালনায় এই ছবিতে কঙ্গনার সঙ্গে অভিনয় করছেন শাহিদ কপূর ও সইফ আলি খান।