অযোধ্যা পৌঁছতেই ঝাঁটা হাতে কঙ্গনা। ছবি: সংগৃহীত।
অযোধ্যায় রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানের জন্য সারা মাস জুড়েই চলছে সাজ সাজ রব। নানা রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্তরে। ইতিমধ্যেই রামলালার মূর্তির ছবি ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। দর্শনার্থীরা পৌঁছে যাচ্ছেন অযোধ্যায়। দেশের বিভিন্ন শহর থেকে অযোধ্যা বিমানবন্দর পর্যন্ত বিমান পরিষেবা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ দিনের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন বিভিন্ন মহল থেকে বাছাই করা কিছু ব্যক্তি। বলিউড থেকে যে সব তারকারা আমন্ত্রিত, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন কঙ্গনা রানাউত। সোমবার, রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র এক দিন আগেই অযোধ্যা পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। সেখানে গিয়ে একেবারে অন্য রূপে ধরা দিলেন কঙ্গনা। রামজন্মভূমির মাটি ছুঁয়ে কঙ্গনা বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই পূর্বজন্মে কোনও পুণ্য করেছিলাম। তাই এমন সুযোগ পেলাম।”
অযোধ্যায় পৌঁছেই প্রথমে যজ্ঞে বসেন কঙ্গনা। পরনে টিস্যুর শাড়ির। গা ভর্তি গয়না। কখনও ঝাঁট দিচ্ছেন মন্দির চত্বর, কখনও আবার ধুয়েমুছে সাফসুতরো করছেন মন্দির। তবে আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে কঙ্গনার মনে। সমাজমাধ্যমের পাতায় কঙ্গনা লেখেন, “হনুমান মন্দির পরিষ্কার করলাম, কিন্তু যতটা চেয়েছিলাম পারলাম না। এত ভিড় ছিল।’’ শুক্রবারই রামলালার মূর্তি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী। জানিয়েছেন, স্বপ্নে যেমন দেখেছিলেন, এই মূর্তি একেবারেই সে রকম। রবিবার হনুমানগড়ি মন্দির ধোয়ার পরই ধর্মগুরু রামানন্দাচার্য স্বামীর সঙ্গেও দেখা করেন কঙ্গনা।
অযোধ্যা পৌঁছে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কঙ্গনা বলেন, ‘‘যাঁরা রামজন্মভূমিতে আসবেন, তাঁরা পুণ্য লাভ করবেন। এটাই আমাদের দেশের সব থেকে বড় তীর্থক্ষেত্র। ঠিক যেমন ভ্যাটিক্যান সিটি। অযোধ্যাধাম আমাদের সকলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি ভাগ্যবতী যে, ভগবান শ্রীরাম এখানে তাঁকে পুজো দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আবার এমন মূর্খ লোকেরাও রয়েছে, যারা এখানে আসবে না।’’