শোকের ছায়া কঙ্গনা রানাউতের পরিবারে। ছবি: সংগৃহীত।
কঙ্গনা রানাউতের পরিবারে অঘটন। দিদিমাকে হারালেন অভিনেত্রী। শুক্রবার প্রয়াত হন কঙ্গনার দিদিমা। তার পর থেকে শোকাচ্ছন্ন সাংসদ-অভিনেত্রী। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেই এই খবর প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।
দিদিমার সঙ্গে একটি পুরনো ছবিও ভাগ করে নেন কঙ্গনা। সে ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হেসে লুটিয়ে পড়ছেন কঙ্গনা ও তাঁর দিদিমা। বোঝাই যায়, এক টুকরো সুখের স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। সেই ছবির ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, “গত রাতে আমার দিদিমা ইন্দ্রাণী ঠাকুর প্রয়াত হয়েছেন। গোটা পরিবার শোকাচ্ছন্ন। দয়া করে প্রার্থনা করবেন।”
দিদিমার সঙ্গে কঙ্গনা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
আরও একটি পোস্টে কঙ্গনা লিখেছেন, “কয়েক দিন আগেই দিদিমা ওঁর ঘর পরিষ্কার করছিলেন। কিন্তু তার পরেই দিদিমার ব্রেন স্ট্রোক হয়। সেই থেকেই তিনি শয্যাশায়ী। দিদিমাকে এই অবস্থায় দেখা খুব যন্ত্রণাদায়ক ছিল। অসাধারণ জীবন যাপন করতেন তিনি। আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা ছিলেন দিদিমা। আমাদের সত্তায় সব সময়ে তিনি থাকবেন। আমাদের উপস্থিতিতেই ওঁকে সব সময়ে স্মরণ করব।”
একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, শয্যশায়ী দিদিমার পাশে বসে রয়েছেন কঙ্গনা। অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, “অসাধারণ মহিলা ছিলেন আমার দিদিমা। পাঁচ সন্তান ছিল। সীমিত অর্থনৈতিক ক্ষমতা সত্ত্বেও সকলকে যাতে ভাল করে পড়াশোনা শেখাতে পারেন, সেই দিকে খেয়াল রেখেছিলেন। বিবাহিত মেয়েদের কেরিয়ার ও কাজের দিকেও নজর ছিল তাঁর। নিজের সন্তানদের নিয়ে খুব গর্বিত ছিলেন তিনি। ওঁর উচ্চতা ছিল ৫ফুট ৮ ইঞ্চি। পাহাড়ি মহিলাদের এমন উচ্চতা হয় না। আমি ওঁরই উচ্চতা পেয়েছি। ওঁর মতোই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়েছি। ১০০ বছরেরও বেশি বয়স হওয়ার পরেও নিজের সব কাজ করতেন।”