Sreemoyee Chattoraj

‘ক’টা বাচ্চা হল, কোথায় চিকিৎসা হল, ভাববেন না’, ছ’লাখি বিল প্রসঙ্গে বিস্ফোরক শ্রীময়ী

মঙ্গলবার বিধানসভায় সেই ছ’লাখি বিল জমা দেন কাঞ্চন। অর্থের পরিমাণ নিয়ে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে অভিনেতা বিধায়ক। কী ভাবে এত বড় অঙ্কের বিল হয়? এই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। বিতর্কে এ বার মুখ খুললেন শ্রীময়ী চট্টরাজ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৫০
Share:

ছ’লাখি বিল প্রসঙ্গে সরব শ্রীময়ী। ছবি: সংগৃহীত।

ফের চর্চায় কাঞ্চন মল্লিক। দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ৩ নভেম্বর এক সুস্থ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন কাঞ্চন-পত্নী শ্রীময়ী চট্টরাজ। দিন কয়েকের মধ্যেই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন দম্পতি। নবজাতক বা প্রসূতির কোনও শারীরিক জটিলতার খবর জানা যায়নি। তবে ওই বেসরকারি হাসপাতালেই খরচ হয়েছে ছ’লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিধানসভায় সেই ছ’লাখি বিল জমা দেন কাঞ্চন। বিধায়ক-অভিনেতাকে নিয়ে তাই আবার বিতর্ক। কী ভাবে এত বড় অঙ্কের বিল হয়? এ প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। বিধানসভায় কাঞ্চন মেডিক্যাল বিল জমা দেওয়ার পর থেকেই শ্রীময়ীকেও অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সে প্রসঙ্গে এ বার মুখ খুললেন শ্রীময়ী চট্টরাজ।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে শ্রীময়ী দাবি করেছেন, সরকারি কর্মী হিসাবে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খরচ পেতেই পারেন তাঁর স্বামী। তা ছাড়া, কে কোথায় খরচ করবেন তা নিয়েও কারও মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই বলে দাবি করেন অভিনেত্রী। তিনি লিখেছেন, “বিধানসভায় বিল জমা দিয়েছে কি দেয়নি সেই বিষয়ে আমি উত্তর দেওয়ার কেউ নই। তার কারণ আমি বিধানসভার সদস্য নই। আর আমার স্বল্প অভিজ্ঞতায় যেটা বলে, যা দেখেছি এতকাল ধরে, যে কোনও সরকারি কর্মচারী (রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী), তারা তাদের মেডিক্যাল পরিষেবাটা পায়। এটাই সরকারি কর্মচারীদের একটা বড় সুবিধা।”

কিন্তু চিকিৎসকের পারিশ্রমিক কেন এত বেশি, এ প্রশ্নের উত্তরে শ্রীময়ীর দাবি, “আমার চিকিৎসকের পারিশ্রমিক নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা এক বার চিকিৎসকের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা বিচার করে তার পর প্রশ্ন করুন। আর আর একটা কথা জানাতে চাই, ডাক্তারবাবুর একমাত্র রোগী কাঞ্চন মল্লিক বা শ্রীময়ী চট্টরাজ নন। এক বার ডাক্তারবাবুর সেই দিকটা যাচাই করে, এবং ডাক্তারবাবু কে, ডাক্তারবাবুর রোগী কারা এবং তাঁর সম্বন্ধিত সমস্ত তথ্য যাচাই করে তার পর বিভিন্ন মন্তব্য পেশ করা উচিত বলে আমার মনে হয়।”

Advertisement

শ্রীময়ীর সাফ কথা, “কে কোন চিকিৎসককে বেছে নেবেন, কে কোন রেস্তরাঁয় খাবেন, কে কোন জামাকাপড় পড়বেন, কোথা থেকে কিনবেন, কার সরকারি না বেসরকারি হাসপাতালে সন্তানের ডেলিভারি হবে, এটা একান্ত তাদের ব্যক্তিগত মতামত। এই নিয়ে দয়া করে অনধিকার চর্চা আপনারা করবেন না।”

অভিনেত্রী মনে করেন না তাঁরা কোনও অপরাধমূলক কাজ করেছেন। তাই তাঁর অনুরোধ, “অনেক কিছু নিয়ে কথা বলার, সমালোচনা করার বা চর্চা করার বিষয় রয়েছে। কাঞ্চন মল্লিক আর শ্রীময়ী চট্টরাজের ক’টা বাচ্চা হল বা কোথায় হল বা কত টাকা খরচা হল, এই ধরনের চর্চা করে নিজেদের শিক্ষার পরিচয়টা আর বাড়াবেন না।”

এ ধরনের চর্চা যে আদতে তাঁদের প্রচারের আলোয় রাখছে, তা নিজেও মনে করেন শ্রীময়ী। তিনি লিখেছেন, “আমাদের অযথা অতি-মূল্যবান বানিয়ে দেবেন না। এই পৃথিবীর অনেকেই মা হয়েছেন তাদের নিজেদের মতো করে, নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী এবং একান্ত ব্যক্তিগত ভাবে, নিজেদের পছন্দ মতো চিকিৎসক ও হাসপাতালে। তাই আমি কোনও বিরল মা নই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement