Kuch Kuch Hota Hai

শাহরুখ নয়, বিয়ের জন্য বাছতেন সলমনকেই! কোন পরিস্থিতিতে এমন করতেন কাজল?

১৯৯৮ সালে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ মুক্তির পর কর্ণ নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে এটি ‘সবচেয়ে অযৌক্তিক’ ছবি। ছবিটি দেখার পর তাঁকে ফোন করে তিরস্কার করেছিলেন অভিনেত্রী শাবানা আজ়মি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:২১
Share:

কাজলের দাবি, সেই ছবিতে ‘অঞ্জলি’ চরিত্রের বিষয়ে তাঁর পরামর্শ নেওয়া হলে অন্য ভাবে ভাবতেন তিনি। — ফাইল চিত্র।

শাহরুখ খানের বদলে সলমন খানের সঙ্গে গেলেই ভাল করতেন, ২৪ বছর পর মনে করছেন কাজল। এক অনুষ্ঠানে তিনি কথা বলছিলেন ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবি নিয়ে। কাজলের দাবি, সেই ছবিতে ‘অঞ্জলি’ চরিত্রের বিষয়ে তাঁর পরামর্শ নেওয়া হলে অন্য ভাবে ভাবতেন তিনি। মোটেই টি-শার্ট, ট্র্যাক প্যান্ট ছেড়ে শাড়ি পরত না কাজলের পছন্দের ‘অঞ্জলি’। ক্লাইম্যাক্সেও রাহুলের (শাহরুখ অভিনীত চরিত্র) বদলে অমনকেই (সলমন অভিনীত অতিথি চরিত্র) বিয়ে করতে চাইতেন।

Advertisement

‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছিল কর্ণ জোহরের প্রথম পরিচালিত ছবি। শাহরুখ, সলমন, কাজল ছাড়া রানি মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়। সেই চরিত্রের নাম ছিল টিনা। অঞ্জলি তার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু হলেও টিনার প্রেমেই পড়েছিল রাহুল। সেই প্রেম পরিণতি পায় বিবাহে। কাজল অভিনীত অঞ্জলি চরিত্রটি বিমর্ষ হয়ে পিছিয়ে যায়। যদিও টিনা বেশি দিন সুখে সংসার করতে পারেনি। একমাত্র কন্যাকে (যার নামও অঞ্জলি) রাহুলের কাছে রেখে সে মারা যায়। বেশ কয়েক বছর পর রাহুল-কন্যা অঞ্জলি বড় হয়ে বাবার পুরনো বন্ধু অঞ্জলিকে খুঁজে বার করে বাবার সঙ্গে মিলিয়ে দেয়। তখন আবার অঞ্জলির পাত্র দেখা হয়ে গিয়েছে। অমনের সঙ্গে বিয়ে পাকা। তবু শেষে চিত্রনাট্য অনুযায়ী স্ত্রী-হারা রাহুলের কাছেই যেতে চায় অঞ্জলি। প্রথম বার সুযোগ হারানোর পর দ্বিতীয় বার রাহুলকে পাওয়ার সুযোগ ছাড়তে চায়নি এই চরিত্র। এখানেই কিছুটা আপত্তি কাজলের।

‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবির একটি দৃশ্যে শাহরুখ, কাজল এবং সলমন। ছবি: সংগৃহীত।

তাঁর দাবি, “আমার পছন্দের অঞ্জলি কখনওই শাড়ি পরে সেজেগুজে অপেক্ষা করত না। তাকে ট্র্যাক প্যান্ট এবং টি-শার্টেই ব্যাপক লাগত। সঙ্গে দামি স্নিকার্স। এমনকি, আরও ভাল ভাবে দেখানো যেত অঞ্জলিকে।”

Advertisement

এর পর কাজলকে অমন এবং রাহুলের মধ্যে এক জনকে বেছে নেওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলেও চমকপ্রদ জবাব দেন অভিনেত্রী। বললেন, “চিত্রনাট্য সাজানোর ভার আমার উপর থাকলে অঞ্জলি আমনের সঙ্গেই যেত। কিন্তু যদি ছবিটার কথা ভাবেন, তা হলে দ্বিতীয় কোনও বিকল্প ছিল না। শেষে যা হওয়ার ছিল তা-ই হয়েছে।”

১৯৯৮ সালে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ মুক্তির পর কর্ণ নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে এটি ‘সবচেয়ে অযৌক্তিক’ ছবি। ছবিটি দেখার পর তাঁকে ফোন করে তিরস্কার করেছিলেন অভিনেত্রী শাবানা আজ়মি। সে কথাও চলচ্চিত্র উৎসবে কবুল করেন কর্ণ। অঞ্জলিকে কম সুন্দরী বোঝানোর জন্য ছোট চুল এবং প্যান্টশার্টে রাখার অর্থ কী? শুধুমাত্র টিনার প্রতি অধিক প্রেম অনুভব করার শর্ত এটি হতে পারে না। কর্ণকে মনে করিয়েছিলেন শাবানা। তার পর অঞ্জলিকে আবার ‘সুন্দরী’ করে তুলতে চুল বড় করে শাড়ি পরিয়ে দেওয়া আরও অসম্মানজনক বলে মনে করেছিলেন শাবানা। কর্ণকে সে কথা জানাতে জবাবে কিছুই বলতে পারেননি কর্ণ। তাঁর উত্তর ছিল, “তুমি একদম ঠিক বলছ। আমি দুঃখিত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement