কাজল নামটাই বোধহয় যথেষ্ট। তাই দীর্ঘ বছর অভিনয়ের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না থাকলেও ক্যামেরা অন হওয়া মাত্র স্বমূর্তিতে ফিরে আসেন। তাই তাঁর কামব্যাক মুভি ‘ফানাহ’ সুপারহিট হয় বক্স অফিসে। কিন্তু জানেন কি বক্স অফিসে একাধিক মেগা হিট ছবির অফার পেয়েছিলেন কাজল? এবং সেগুলি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন?
মহব্বতে: ঐশ্বর্যার চরিত্রটার জন্য পরিচালক আদিত্য চোপড়া প্রথমে কাজলের কাছেই অফার নিয়ে যান। কিছু অসুবিধা থাকায় কাজল অফারটা নেননি। পরে তাঁর জায়গায় ঐশ্বর্যাকে নেওয়া হয়।
ভির-জারা: শাহরুখ খান আর প্রীতি জিন্টার রোম্যান্টিক ড্রামা। এই ফিল্মে প্রীতি ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। এই ফিল্মেও প্রথমে জারার জন্য কাজলকেই ভাবা হয়েছিল।
থ্রি-ইডিয়টস: রাজকুমার হিরানির এই ফিল্ম দর্শক মনে আজও যেন একই ভাবে রয়ে গিয়েছে। ফিল্মে করিনা কপূরের চরিত্র প্রথমে কাজলকেই ভাবা হয়েছিল। কিন্তু চরিত্রটা কাজলের পছন্দ হয়নি। কাজল তখন জানতেন না, বক্স অফিসের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলতে চলেছে ফিল্মটি।
কভি আলবিদা না কহেনা: কাজল যদি ফিল্মের জন্য রাজি হতেন তাহলে রানি মুখোপাধ্যায়ের জায়গায় আমরা কাজলকে দেখতে পেতাম। কিন্তু তখন ফানাহ-র জন্য ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তাই তাঁর জায়গায় অফার লেটার পৌঁছয় রানির কাছে।
চলতে চলতে: শাহরুখ আর রানির আর এক বক্স অফিস হিট। এই ফিল্মেও প্রথমে কাজলকে অফার দেওয়া হয়েছিল। কাজল রাজি না হওয়ার পরিচালকের দ্বিতীয় পছন্দ রানি মুখোপাধ্যায় ফিল্মের জন্য সই করেন।
শক্তি, দ্য পাওয়ার: ২০০২ সালের এই ফিল্মের পরিচালক শাহরুখের বিপরীতে কাজলকেই ভেবে রেখেছিলেন। কিন্তু কাজল ছবিটি প্রত্যাখ্যান করেন। বদলে ওই চরিত্রটি অভিনয় করেন করিশ্মা।
দিল তো পাগল হ্যায়: এটা একটা মিউজিক্যাল রোম্যান্টির ড্রামা ছিল। যশ চোপড়ার এই ফিল্মে অভিনয় করে শাহরুখ খান, মাধুরী দীক্ষিত এবং করিশ্মা কপূর। শুধুমাত্র নাচতে না পারার জন্য কাজল এই ফিল্ম করেননি। পরিবর্তে অভিনয় করেন করিশ্মা।