নতুন বাড়ি পেয়ে খুশি দ্বারকানাথ, কাদম্বিনী। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।
পুরনো বাড়ি ছেড়ে দ্বারকানাথ উঠে এলেন কর্নওয়ালিশ স্ট্রিটের নতুন বাড়িতে। চোখ জুড়োনো বাড়ি বটে। বিশাল দালান। খিলানে সূক্ষ্ম জাফরির কাজ। পুরনো কলকাতার বাড়ির খড়খড়ি দেওয়া জানলা। আর সেই ‘জানলার ঝিলমিলিটার পাখি তুলে’ শহর কলকাতার পথে চোখ কাদম্বিনীর। টানা বারান্দায় খসখস ঝোলানো। মেয়েদের আব্রু বাঁচাতে।
নতুন বাড়ি পেয়ে খুশি দ্বারকানাথ, কাদম্বিনী। ততটাই খুশি পরিচালক রাজেন্দ্রপ্রসাদ দাস, শিল্প নির্দেশক জয়চন্দ্র চন্দ্র। মাস্ক পরা পুরোহিত মশাইয়ের উপস্থিতিতে নারকেল ভেঙে, ধুমধাম করে গৃহপ্রবেশও হল।
দ্বারকানাথ, কাদম্বিনী না হয় খুশি, বাকিরা খুশি কেন?
বাস্তবে নয়, পুরো বিষয়টিই ঘটছে ছোটপর্দায়, ‘কাদম্বিনী’ মেগায়। এতদিন বেলগাছিয়া রাজবাড়িতে শুট হত। এবার শিল্প নির্দেশকের তৈরি নতুন ফ্লোরে পা রাখলেন টিম কাদম্বিনী।
দ্বারকানাথের কর্নওয়ালিশ স্ট্রিটের বাড়ির প্রতিরূপ এই সেট। ছবি সংগৃহীত।
চেনা মেকআপে সেটে পা রেখে উচ্ছ্বল ‘কাদম্বিনী’ ঊষসী রায়। জানালেন, ‘‘আমরা সবাই ভীষণ এক্সাইটেড। এই প্রথম আমরা ফ্লোরে পা রাখলাম। আমি এর আগে কোনও পিরিয়ড ড্রামায় কাজ করিনি। ফলে, বেলগাছিয়া রাজবাড়িতে কাজ করার মজা আমার কাছে এক রকম। আবার নতুন ফ্লোরে কাজের মজা আরেক রকম। চেষ্টা করব যাতে আরও মন দিতে অভিনয় করতে পারি।’’
এই মত কি পরিচালকেরও?
রাজেন্দ্রপ্রসাদের মতে, বেলগাছিয়া রাজবাড়িতে কাজ করতে করতেই এই রকমের একটি বাড়ির সেটের কথা মাথায় ভাসছিল সবার। যেটা রাজবাড়িতে সম্পূর্ণ রূপে পাওয়া যাচ্ছিল না। সেটা এবার পাওয়ায় ভাল লাগছে। সেট ঘুরলেই বোঝা যাবে, কত সূক্ষ্ম কারুকাজে বানানো হয়েছে পুরোটা। দ্বারকানাথের কর্নওয়ালিশ স্ট্রিটের বাড়ির প্রতিরূপ এই সেট।
খুশি শিল্প নির্দেশকও, এতদিন যেন অসম্পূর্ণ লাগছিল নিজের হাতে বানানো সেটটিকে। এ বার পূর্ণতা পাচ্ছে অভিনেতা, কলাকুশলীদের উপস্থিতিতে।
৪০ দিন ধরে বানানো দোতলা বাড়ির এই সেটের বারান্দা সাজানো নানা গাছের টবে। দামি আসবাবের রেপ্লিকায়। দেখে কে বলবে, এটা সত্যিকারের বাড়ি নয়, সেট!
আরও পড়ুন: সেই চা-কাকুকে রাখির কী উপহার পাঠালেন মিমি?
আরও পড়ুন: মনোবিদকে নিশানা সুশান্তের জামাইবাবুর