কবীর-পরভিন
তাঁদের উদ্দাম প্রেমের গল্প এখনও ঘুরপাক খায় বলিউডের আনাচকানাচে। অবসাদে ডুবে, তার জেরে অসুস্থতায় সতেরো বছর হল মারা গিয়েছেন পরভিন। সত্তরের দশকে বলিউডের লাস্যময়ী নায়িকাদের অন্যতম পরভিন বাবি। এখনও সেই আফশোস তাড়া করে বেড়ায় তাঁর প্রেমিক কবীর বেদীকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মনের আগল খুললেন বলিউড অভিনেতা।
সত্তরের দশকে কবীর তখন বিবাহিত। স্ত্রী নৃত্যশিল্পী প্রতিমা বেদীর সঙ্গে তাঁর ‘ওপেন ম্যারেজ’ সে সময়ে তুমুল চর্চায়। তার মধ্যেই বলিউডের সুপুরুষ অভিনেতা প্রেমে পড়লেন ‘দিওয়ার’, ‘অমর আকবর অ্যান্থনি’, ‘নমক হালাল’-এর মতো ছবির অভিনেত্রী পরভীনের। তাঁদের উথালপাথাল প্রেম শোরগোল ফেলল গোটা বলিউডে। সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারটিতে সে সব দিনের গল্প বলেছেন কবীর। জানিয়েছেন, কী ভাবে সেই ভালবাসায় মোড়া সম্পর্কেই ক্রমে ছায়া ফেলতে লাগল পরভীনের মানসিক সমস্যা।
বলিউড থেকে অভিনয় করতে বিদেশ পাড়ি দেওয়া অভিনেতা অকপটে বলেন, “পরভীন ছিল ভীষণ অনুভূতিপ্রবণ এবং অসম্ভব বুদ্ধিমতী। আমি যেমন ওকে খুব ভালবাসতাম, আমার প্রতি ওর প্রেমও ছিল খুব গভীর। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের সম্পর্কের মাঝে এসে দাঁড়াল ওর মানসিক অবসাদ। ওর মধ্যে যখন মানসিক সমস্যা ডালপালা মেলছে, আমি তখন ইওরোপে অভিনয় করে সাফল্যের শীর্ষে পা রাখছি। কাজের সূত্রেই দূরে যেতে হয়েছিল। ওর অবসাদে ডুবে যাওয়াও আটকাতে পারিনি কিছুতেই। সে সময়টা আমার জন্যও বড্ড কঠিন ছিল।”
একাধিক জনপ্রিয় ছবির নায়িকা পরভীনের আয়ের অঙ্ক ছিল তৎকালীন বলিউডের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ড্যানির সঙ্গে তাঁর প্রথম সম্পর্ক। তার পরে কবীর। অভিনয়ের সূত্রে কবীরের দূরে চলে যাওয়া এবং সম্পর্ক ভাঙা, নিজের মানসিক অবসাদ, সব মিলিয়েই ক্রমশ মানসিক অসুস্থতা দেখা দেয় পরভীনের। পরে মহেশ ভট্টের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। তবে ক্রমে সিজোফ্রেনিয়ার মতো রোগের শিকার হয়ে, নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগে ২০০৫ সালের ২০ জানুয়ারি মৃত্যু হয় একদা লাস্যময়ী নায়িকার।