সভাপতির পদ ত্যাগ করলেন মোহনলাল। ছবি: ফেসবুক।
গত ১৯ অগস্ট হেমা কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কার্যত ধস নেমেছে দক্ষিণী বিনোদন দুনিয়ায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, মালয়ালম ছবির অভিনেতা সিদ্দিকী, পরিচালক রঞ্জিত বালকৃষ্ণন-সহ একাধিক খ্যাতনামীর বিরুদ্ধে অভিনেত্রীদের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। খবর, সেই প্রেক্ষিতে দায় স্বীকার করে নিয়ে মঙ্গলবার ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ মালায়ালম মুভি আর্টিস্টস’ (এএমএমএ)-র সভাপতির পদ ত্যাগ করলেন মোহনলাল৷ তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
সোমবারই বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য রাখেন মালয়ালম অভিনেতা পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। তিনি স্বীকার করেন, মালায়ালম ছবির অভিনেতাদের নিয়ে তৈরি সমিতি (এএমএমএ) যৌন হয়রানির অভিযোগগুলির সঠিক সমাধান করতে পারেনি। সংগঠনকে এই বিষয়ে আরও কঠোর হতে হত। তিনি সংগঠনের একজন সদস্য হিসেবে ব্যর্থতার দায় মাথা পেতে নেন। সম্ভবত সেই জায়গা থেকেই এর পর মঙ্গলবার মোহনলাল এবং সংগঠনের সদস্যেরা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দিন একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, “কমিটির কয়েক জন সদস্যের বিরুদ্ধে কিছু অভিনেত্রী নারী নিগ্রহের অভিযোগ এনেছেন। সেই দায় স্বীকার করে কার্যনির্বাহী কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সভাপতি এবং সংগঠনের প্রত্যেক সদস্য। আশা, দু’মাসের মধ্যে ফের নির্বাচন হবে। নতুন কমিটি গঠন করা হবে।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “আমরা আশা করছি, নতুন নেতৃত্ব সংগঠনটিকে আগের থেকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলবেন।” পাশাপাশি, সদস্যদের ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য বিবৃতিতে সকলকে ধন্যবাদ জানান সভাপতি মোহনলাল।
প্রসঙ্গত, মালায়ালম ছবির জগতে অভিনেত্রীদের হেনস্থার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিক বার সরব হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আক্রান্তেরা। কিন্তু, সে সময় তাঁদের কথা সে ভাবে গ্রাহ্য হয়নি। সেই দিকে নজর আকর্ষণ করে মালায়ালম অভিনেতা শাম্মি থিলাকান মোহনলালের নিন্দাও করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, মোহনলাল পদক্ষেপ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। নইলে এই জঘন্য অপরাধ দিনের পর দিন ঘটত না।