জয় সরকার
দিনদুপুরে পুকুর ঘাটে জয় সরকার! সেই ছবি নেটমাধ্যমে। নিজের ছবিতে নিজেই রসিকতা করেছেন শিল্পী। জয়ের মতে, ছবি অনুযায়ী তিনি ‘পুকুর ঠাকুরপো’! কথার কারসাজির গন্ধ পেতেই হামলে পড়েছেন নেটাগরিক।
শ্রীজাত মজা করে বানান শুধরোতে বসেছেন। অভিনেত্রী বিদিপ্তা চক্রবর্তী আবার এক ধাপ এগিয়ে। তাঁর মতে, ‘কুকুর ঠাকুরপো না হলেই হল’! তার পরেই হাল্কা কটাক্ষও করেছেন বিদীপ্তা। বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের ভঙ্গিতে তিনি লিখেছেন, ‘এই মন্তব্যটি লেখার সময় কোনও প্রাণীর ক্ষতি করা হয়নি’!
আম জনতার কিন্তু অন্য কৌতূহল। জয় সরকার কার ঠাকুরপো, পুকু-র? নাকি পুকুরঘাটে দাঁড়ানোয় এই নামকরণ! সেই জিজ্ঞাসা যথারীতি উঠে এসেছে মন্তব্য বিভাগে, ‘তার মানে ইনি পুকু নামে কোনও মহিলার ঠাকুরপো’! পুকুরঘাটে দাঁড়ানো নিয়েও মজার প্রশ্ন, ত তিনি পুকুর পাড়ে কেন? দুপুর বেলা পুকুর ঘাটে, কি ব্যাপার? এক নেটাগরিক সিরিজ ‘দুপুর ঠাকুরপো’-র সঙ্গে জয়ের গাঁটছড়া বেঁধে দিয়েছেন সরাসরি। বলেছেন, ‘ঘাটে কোনও বৌদি নেই তো?’ সেই দেখে পাল্টা মন্তব্য আরেক জনের, ‘কোনও পুকুরই নিরামিষ নয়। মাছ আছেই...!’
এ ভাবেই আমিষ-নিরামিষ মতামতে জয়ের সামাজিক পাতা ছয়লাপ। সুরকার যদিও ছবি আর মন্তব্য লিখেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
এ ভাবেই জয় প্রতি বার একটি ছবি আর বুদ্ধিদীপ্ত মতামত লিখে জমিয়ে দেন নেটমাধ্যম। আগে রজনীকান্তের ভঙ্গিমায় ছবি দিয়ে মাতিয়ে দিয়েছিলেন সবাইকে। সেই পোস্টে রসিকতার বাড়তি জোগানদার ছিলেন শিল্পীর স্ত্রী লোপামুদ্রা মিত্র। জয় অভিনয়ে এলে তিনি বাবার বাড়ি চলে যাবেন, এই হুংকার ছাড়তেই নেটাগরিকেরা মজেছিলেন রসিকতায়। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
বৌদি-ঠাকুরপো ঘটিত রসালাপ লোপা আগের বারের মতোই কি মেনে নিতেন? জানা যায়নি। তবে এর মধ্যেই এক নেটাগরিক কিন্তু হুঁশিয়ার করেছেন জয়কে। তাঁর কথায়, ‘একজন সঙ্গীতজ্ঞ মানুষের মুখে এ রকম বাজে ইঙ্গিত মানায় না’।