অ্যাম্বারের গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিতেন মাদকাসক্ত জনি!
মধুচন্দ্রিমার সময়ই অ্যাম্বার হার্ডকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন অভিনেতা জনি ডেপ। এমনকি, মাদকাসক্ত জনি সিগারেটের ছ্যাঁকা দিতেন অ্যাম্বারের গায়ে। আদালতে এমনই অভিযোগ করলেন জনি ডেপের প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বার।
এক সময় নিবিড় ভালবাসার সম্পর্ক ছিল জনি ডেপ আর অ্যাম্বারের। সে কথা মনে করলে ডুকরে কেঁদে ওঠেন অ্যাম্বার। বলেছেন, ভাবতে পারছেন না, সব কিছু এ ভাবে শেষ হয়ে যাবে! তিনি আজও ভালবাসেন জনিকে, কিন্তু তিক্ততা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, কিছুই যে আর ঠিক হওয়ার নয়। আদালতে মামলা হয়েছে। সেখানে পারস্পরিক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ উঠে আসছে।
শুনানি থেকে স্পষ্ট, দু’জনের মধ্যে অশান্তি চরমে উঠেছিল ২০১৫-র পর থেকে। ২০১৭-তে বিচ্ছেদ। তার পরেও কাদা ছোড়াছুড়ি শেষ হয়নি। ৫০ লক্ষ ডলার খরচ করে অ্যাম্বারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকেছিলেন জনি। সেই মামলার শুনানি চলছে ভার্জিনিয়ার আদালতে।
আদালতে অ্যাম্বার জানান, তিনি যে এত দিন বেঁচে আছেন, সেটাই আশ্চর্য। ২০১৫ সালে মধুচন্দ্রিমা সফরে মৃত্যুভয় প্রত্যক্ষ করেছিলেন তিনি। জনি নাকি তাঁকে ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেসের মধ্যেই গলা টিপে ধরেছিলেন। ঘাড় ধরে ফেলে দিতে গিয়েছিলেন চলন্ত ট্রেন থেকে।
অ্যাম্বারের দাবি, সেটাই ছিল শুরু। এর পর প্রায় প্রতি দিনই গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযোগ, জনি তাঁর উপর সমস্ত রকম অত্যাচার করতেন। সেই সঙ্গে জনিকে মাদকাসক্ত এবং স্বেচ্ছাচারী হিসেবেও উল্লেখ করেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী।
যদিও সেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ‘চার্লি অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি’র অভিনেতা। তাঁর পক্ষের উকিলরাও অ্যাম্বারকে প্রতিনিয়ত নিরস্ত করার চেষ্টা করে চলেছেন। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, অ্যাম্বার জনিকে হেনস্থা করেছেন। শয্যায় মলত্যাগ করা-সহ নানা ভাবে অভিনেতার মান নষ্ট করেছেন।
তবে অ্যাম্বারও দমার পাত্রী নন। স্পষ্ট জানান, তর্ক-বিতর্ক তাঁদের মধ্যে চলতই, যেমন আরও পাঁচটা দম্পতির চলে। কিন্তু তর্ক করতে করতেই নাকি উত্তেজিত হয়ে পড়তেন জনি। এক বার সোজা এসে ছুরি চালিয়ে দিয়েছেন অ্যাম্বারের গায়ে। জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দিতেন তাঁকে, এমনটাও অভিযোগ করেন তিনি।
তবু অ্যাম্বারের দাবি, জনিকে তিনি আজও ভালবাসেন। কাউকে কিছু না বলে রূপটানের সাহায্যে ক্ষত ঢেকে ঘুরতেন। প্রয়োজনে মনোবিদের কাছে গিয়েছেন, তবু বিশ্বের দরবারে জনির মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়, এমন কিছুই করেননি।