জন্মদিনে ভক্তদের সঙ্গে জিৎ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
মাঝরাতে বাড়ির সামনের রাস্তায় এক দল যুবক। তাঁরা মনের সুখে বাজি পোড়াচ্ছেন। অকাল দীপাবলি? না, জিতের জন্মদিন। তাঁরা নায়কের ভক্ত। ভালবাসার মানুষকে এ ভাবেই তাঁরা ভালবাসা জানিয়েছেন। তাঁদের অবাক করে মধ্যরাতে বারান্দাতে দেখা দিয়েছেন জিৎ! এক মুখ হাসি নিয়ে হাত নেড়েছেন তাঁদের উদ্দেশ।
সকালবেলা আলো ফুটতেই আবার বাড়ির সামনে ভক্তের ঢল। নির্দিষ্ট সময়ে সাদা-কালো শার্ট, কালো ট্রাউজার্সে বাড়ির দোতলার বারান্দা এলেন তিনি। এ বার সঙ্গী স্ত্রী মোহনা, মেয়ে নবন্যা, ছেলে রোনাভ, বাবা, ভাই। নায়ক হাত নাড়াতেই উল্লাস শুরু। নায়কের হাতে উঠে এল মাইক্রোফোন— “আমি কোনও ঈশ্বর নই যে ছেড়ে দেব, আর রাক্ষস নই যে মেরে দেব”। ‘শত্রু ১’-এর সংলাপ তাঁর মুখে, নেপথ্যে বাজছে জিতের ‘বস’ ছবির গান। প্রিয় নায়কের দর্শনে তত ক্ষণে উত্তাল ভক্তরা। তাঁদের সঙ্গে নিজস্বীও তুললেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়। অনুরাগীদের দেখা দিয়ে তিনি চলে গেলেন বাড়ির এক তলায়। সেখানে বড় টেবিলের সার দিয়ে রাখা নানা স্বাদের কেক। কোনওটা রেড ভেলভেট, চকোলেট, ভ্যানিলা। আবার কোনওটা ব্ল্যাকফরেস্ট। ঝড়ের গতিতে নিপুণ হাতে একের পর এক কেক কাটলেন জিৎ। সাক্ষী পরিবার এবং সেই এক এবং অদ্বিতীয় ভক্তরা।
৪৬তম জন্মদিনের প্রথম ভাগ এ ভাবেই কাটিয়ে ফেলেন জিতেন্দ্র মদনানি! যিনি জন্মসূত্রে অবাঙালি হয়েও সর্বাংশে বাঙালি। তিনটি দৃশ্যের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল সমাজমাধ্যমে। সেখানেই শাহরুখ খানের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন সকলে।
বয়স যতই বাড়ুক কিংবা ছবি যেমনই ব্যবসাই করুক— তাঁর অনুরাগী সংখ্যায় কিন্তু চিড় ধরেনি। এখনও বাংলা ছবির সনাতনী ধারা মেনে তিনি পুরোপুরি বিনোদনধর্মী ছবিতে নিবেদিতপ্রাণ। এ ভাবেই কি আগামী বছরগুলোও কাটিয়ে দেবেন তিনি? না কি শহুরে রীতি মেনে ছবির ভাবনায় বদল আনবেন? জিতের সাম্প্রতিক ছবি ‘ব্যুমেরাং’ বলছে, তিনি বুঝি মধ্যপন্থী। আমজনতাকে একেবারে অস্বীকার করে ধ্রুপদী হয়ে ওঠায় বিশ্বাসী নন। সে কথা তিনি জন্মদিনেও বুঝিয়ে দিয়েছেন। নিজের ঝাঁঝালো সংলাপের পাশাপাশি তিনি অনুরাগীদের আশ্বাস দিয়েছেন, “এক সাথে এক হয়ে এগিয়ে চলার মানে জিৎ”।