ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন ও জয়া বচ্চন। ছবি: সংগৃহীত।
বার বার চর্চায় উঠে আসছেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন। জল্পনা, তাঁদের দাম্পত্যে নাকি দূরত্ব বেড়েছে। তবে এই নিয়ে এখনও মুখে কুলুপ তারকা দম্পতির। সংসারে বনিবনার অভাবেই কি দাম্পত্যে চিড়? এমন প্রশ্নও উঠেছে বহু বার। শোনা যায় শাশুড়ি জয়া বচ্চনের সঙ্গে নাকি মোটেই সুসম্পর্ক নয় ঐশ্বর্যার। জয়া বচ্চনের কড়া শাসন নাকি মেনে নেননি প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী।
পুরনো এক সাক্ষাৎকারে পুত্রবধূর সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে কথা বলেছিলেন জয়া বচ্চন। ঐশ্বর্যার সঙ্গে কী ধরনের বাক্যালাপ হয়, তা নিয়ে খোলাখুলি নিজের মতামত প্রকাশ করেছিলেন। তবে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গেলে মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম, পুত্রবধূকে জানিয়ে দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। ‘উল্টোপাল্টা’ আলোচনা তাঁর সঙ্গে করাই যায়। কিন্তু সব সময় সম্মানের সঙ্গে কথা বলতে হবে, শর্ত জয়ার।
কোনও বিষয় অপছন্দ হলে ঐশ্বর্যার মুখের উপরেই বলতে পছন্দ করেন জয়া। ঐশ্বর্যাও নাকি একই কাজ করেন। মতান্তর হলে, তা সরাসরিই বলেন। কিন্তু দু’জনের কথাবার্তার ধরনে রয়েছে বিশেষ ফারাক। জয়া বলেছিলেন, “একটাই পার্থক্য রয়েছে। আমার কথাবার্তায় একটু বেশি নাটকীয়তা থাকতেই পারে। কিন্তু ও (ঐশ্বর্যা) যেন সম্মানের সঙ্গে কথা বলে। আমি বয়সে বড়। এটুকুই আমার শর্ত। তা ছাড়া আমরা একসঙ্গে বসে নানা উল্টোপাল্টা কথা বলি। শুধু আমি আর ঐশ্বর্যাই একসঙ্গে সময় কাটাই। যদিও ওর বেশি সময় থাকে না। তবে ও সব কাজ করেই আনন্দ পায়। আমার সঙ্গে ওর খুবই ভাল সম্পর্ক।”
অনন্ত অম্বানী ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের আসরে গোটা পরিবার নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন অভিষেক। কিন্তু ছিলেন না ঐশ্বর্যা ও আরাধ্যা। তাঁরা পরে আলাদা ভাবে উপস্থিত হন। এই ঘটনার পরেই শুরু হয় বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা।