রেগে আগুন জাভেদ। ছবি: সংগৃহীত
মানবাধিকারকর্মী, ইতিহাসবিদ থেকে আমলা— সমাজের নানা স্তরের প্রায় ছয় হাজার মানুষ বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির বিরোধিতায় এক যোগে সরব হয়েছেন। এ বার সেই তালিকায় জুড়ল জাভেদ আখতারের নাম।
২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করেছিল ১১ জন। তাঁর চোখের সামনে ‘খুন’ করেছিল গোটা পরিবারকে। আছড়ে মেরেছিল তাঁর তিন বছরের মেয়েকে। ২০০৮ সালে সেই ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। কিন্তু ২০২২-এর ১৫ অগস্ট আজাদির স্বাদ পেয়েছে তারা।
আর দোষীদের মুক্তির এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক, এই মর্মে সরব দেশের একাংশ। সেই দলেই যোগ দিলেন জাভেদ। তীব্র বিরোধিতা করে তিনি টুইট করে লিখেছেন, ‘পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণ, তিন বছরের শিশুকে আছড়ে মেরে ফেলার পর দোষীদের যদি মুক্তি দেওয়া হয়, মিষ্টি মুখ করিয়ে, ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা হয়, তা হলে আমি নিশ্চিত, আমাদের সমাজের ঘোরতর কোনও অসুখ হয়েছে। কিছু তো গণ্ডগোল রয়েছে আমাদের মধ্যেই’।
অপ্রত্যাশিত এই পটপরিবর্তনে আতঙ্ক আর নৈরাশ্য ঘিরে ধরেছে বিলকিসকে। তাঁর স্বামী ইয়াকুব রসুলও বলছেন, ‘‘এক লহমায় ১৮ বছরের লড়াইটা শেষ হয়ে গেল। আমাদের খুব ভয় করছে। কী করব জানি না।’’ বাসস্থান পরিবর্তন করতে হবে কি না, বুঝতে পারছেন না এখনও। গুজরাত সরকারকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার জন্য অবশ্য অনুরোধ জানিয়েছেন বিলকিস।