নুসরত জাহান।
ব্যক্তিগত জীবনে নিয়ম মেনে চলায় পক্ষপাতী? নাকি নিয়ম ভেঙে বেশি আনন্দের খোঁজে সদাই ব্যস্ত নুসরত জাহান!
কঠিন প্রশ্ন। আপাতত এই ধাঁধার উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত নেটাগরিকেরা। সৌজন্যে নুসরতের ছবির ক্যাপশন। তিনি লিখেছেন, ‘যদি তুমি সমস্ত নিয়ম ঠিক ঠিক মেনে চল, তাহলে সব মজাই মাটি!’
তাহলে নতুন বছরেও নিয়ম মানার থেকে নিয়ম ভাঙাতেই কি বেশি আগ্রহী হবেন তিনি? বরাবরের মতো?
নুসরত কখনও, কোনও কিছুতেই বাঁধাধরা নিয়ম মেনে চলেননি। নিজের ধর্মে সম্পূর্ণ আস্থা রেখেই আজীবন সম্মান জানিয়ে এসেছেন সমস্ত ধর্মকে।
তাই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। সমস্ত ধর্মের 'গুরু'রাই তাঁর সমালোচনা করেছেন। যদিও সে সব মোটেই কানে তোলেননি তিনি। অনেকে তাঁর আর নিখিলের বিয়েকে ‘লাভ জিহাদি’ তকমাও দিয়েছে। নিখিল-নুসরত তার পরেও অটল। সমস্ত কটাক্ষ উপেক্ষা করে নুসরতকে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রথের রশি টানতে। কিংবা অষ্টমীতে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে ঢাক বাজাতে।
A post shared by Nusrat (@nusratchirps)
সাংসদ হয়েও তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি রিল ভিডিয়োও বানিয়েছেন। এতেও তাঁকে কম ট্রোলড হতে হয়নি। যখনই নিজের ছবি পোস্ট করেছেন সাহসী ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘সে খুবই সুন্দরী। সে দয়ালুও। কিন্তু প্রয়োজনে সে তোমার মুখে ঘুষি মারতেও পিছপা হবে না'।
অর্থাৎ, নিয়ম ভাঙার খেলায় বাধা এলে এ ভাবেই নুসরত সেই বাধা ভাঙবেন।
সারাক্ষণই অভিনেত্রীর প্রতিটি পদক্ষেপ আতসকাচের নীচে ফেলে যাচাই করেন নেটাগরিকেরা। রিল ভিডিয়ো বানানো, স্বামীর সংস্থার হয়ে মডেলিং, এক মনে বুদ্ধের ছবি আঁকা— তাঁর প্রায় সব কিছুতেই আপত্তি তাঁদের একাংশের। উল্টে বারে বারে সাংসদ হিসাবে দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
তার পরেও নুসরত দিন কাটান আপন খেয়ালে। জীবন উপভোগ করবেন বলে। আগামী বছরে কোন খেয়াল তাঁকে পেয়ে বসে, তারই চর্চা এখন নেট-পাড়ায়।
আরও পড়ুন :বিগ বসের ঘরে কফি নিয়ে ঝগড়া, নাক ফাটল রাখি সবন্তের
আরও পড়ুন : সাদা-কালোয় রহস্যময়ী মিথিলা জীবনানন্দের ‘অরুণিমা সান্যাল’