ঋতুপর্ণা
তাঁর লেখা চরিত্রই জাতীয় পুরস্কার এনে দিয়েছিল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। তার পর তো লেখিকার একাধিক সৃষ্টিকে পর্দায় রূপ দিয়েছেন। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের লেখনীর সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগ আছে, বলছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
লেখিকার উপন্যাস ‘গহীন হৃদয়’ নিয়ে ছবি করেছেন অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়। এর আগে সুচিত্রার লেখা ‘দহন’, ‘অলীক সুখ’-এ অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা। ‘দহন’-এর জন্যই পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার। লেখিকার ‘ইচ্ছের গাছ’ নিয়ে তৈরি ‘ইচ্ছে’ ছবিটি প্রেজ়েন্ট করেছিলেন অভিনেত্রী। ‘‘সুচিত্রাদির লেখার মধ্যে ভীষণ সিনেম্যাটিক উপাদান আছে। ওঁর লেখা নারী চরিত্রগুলোর তুলনা হয় না। উনি নারীর আবেগ, জটিলতাকে যতটা ব্যাপ্তি দিতে পারেন, আর কেউ ও ভাবে পারে না,’’ বলছিলেন ঋতুপর্ণা!
সুচিত্রার গোয়েন্দা চরিত্র ‘মিতিন মাসি’তে ঋতুপর্ণার অভিনয় করার কথা। জানালেন, মিতিন মাসির গোয়েন্দাগিরি নিয়ে তিনি এ বার আঁটঘাট বাঁধছেন।
‘গহীন হৃদয়’-এ ঋতুপর্ণা সোহিনীর চরিত্র করছেন। বৈবাহিক জীবনে সোহিনী সুখী নয়। স্বামী ভাস্করের সঙ্গে তার চাওয়া-পাওয়া মেলে না। এমন সময়ে সোহিনীর জীবনে আসে অনুপম। ঘর ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় সোহিনী। কিন্তু তখনই জানতে পারে ভাস্কর ক্যানসারে আক্রান্ত। এ বার সোহিনী কী সিদ্ধান্ত নেবে? ঋতুপর্ণার কথায়, ‘‘এক জন মেয়ে কোন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়, সেই পরিস্থিতিতে না পড়লে অন্য কেউ তা বুঝবে না। বাইরে থেকে কাউকে বিচার করা ঠিক নয়। এটা খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছেন সুচিত্রাদি।’’
পরিচালক সাদা-কালোর ক্যানভাসে চরিত্রগুলোকে রূপ দিয়েছেন। শুধু স্বপ্নগুলো রঙিন। অগ্নিদেবের সঙ্গে ঋতুপর্ণার একটা আলাদা যোগ রয়েছে। পরিচালকের সঙ্গে গোটা সাতেক ছবি করেছেন তিনি। ‘চারুলতা ২০১১’, ‘মিসেস সেন’... হিন্দিতে ‘তেরে আনে সে’, ‘জিহাদ’ মুক্তির অপেক্ষায়। ‘গহীন হৃদয়’-এ ঋতুপর্ণার সঙ্গে রয়েছেন দেবশঙ্কর হালদার, কৌশিক সেন প্রমুখ।