সাধারণ বাঙালি ক্রেতাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন আপনি...
আমার জামাকাপড় শিক্ষিত বাঙালিদের বাড়িতেও প্রচুর বিক্রি। অনাবাসী ভারতীয় বাঙালিরা প্রচুর কেনেন।
মেয়েদের জন্য কোনও কোনও সময় আপনি আপাদমস্তক ঢাকা পোশাক ডিজাইন করেন। এত ঢাকাঢুকি কীসের?
তা নয়। আমি সাধারণ মেয়েদের কথা ভেবেই ডিজাইন করি।
কিন্তু মেয়েদের সেক্স অ্যাপিল বাড়িয়ে তোলাটাও তো ডিজাইনার পোশাকের উদ্দেশ্য...
বাঙালি মেয়েদের সৌন্দর্য, তাদের সেক্স অ্যাপিল চোখে, চুলে এবং ত্বকে। তাদের প্যাশনে, স্পিরিটে, চঞ্চলতায়। আমার পোশাকে সেটা খুব পরিষ্কার ভাবে ধরা পড়ে।
পুরুষের সেক্স অ্যাপিলটাকে কী ভাবে ফ্যাশনে নিয়ে আসবেন?
নাহ্, আমি মেয়েদের সাজাতেই বেশি পছন্দ করি। তবে বলি, সইফ আলি খানের সাজপোশাক আমার বিশেষ পছন্দের।
সিনেমার তারকাদের সাজাবার ইচ্ছে হয় না?
আমার ডিজাইনের জামাকাপড় বলিউডের অনেক স্টার-ই পরেন। রবীনা, তব্বু, নেহা ধুপিয়া এবং নতুন প্রজন্মের তারকারাও পরেন। সুপার মডেল নাওমি ক্যাম্পবেলও পরেছেন।
টলিউডের তারকাদের আপনার পোশাক পরাতে চান না?
ঋতুপর্ণা আমার পোশাক পরে। স্বস্তিকাকেও সাজাতে ভাল লাগবে। ওর স্টাইল সেন্সটা চমৎকার।
এই প্রথম নিজের শহর কলকাতায় নিজের তৈরি পোশাকের প্রদর্শনী করলেন...
কলকাতায় সবাই চায় আমি প্রদর্শনী করি। কিন্তু এত দিন করিনি। এ বার করলাম। তবে কোনও মিডিয়াকে ডাকিনি। খুব ভালবেসে তৈরি করেছি আমার স্প্রিং সামার কালেকশন। বলতে পারেন আমার মা এবং দিদিমার প্রতি এ আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি।
হ্যান্ডলুম নিয়ে কালেকশন কেন করলেন?
ভারতীয় হ্যান্ডলুমের প্রচারের জন্য বস্ত্র মন্ত্রক আমাকে বলেছিল। আমার দিদিমা নিজের হাতে খাদির কাপড় বুনতেন এবং পরতেন। আর মা পরতেন শিফন, জর্জেট, জার্সি, পলিয়েস্টার এই সব। আমি এই দুই মেটিরিয়ালকে মিলিয়েছি। একটা নতুন ধরনের মিক্স ম্যাচ করার চেষ্টা করেছি।
হ্যান্ডলুম দিয়ে সম্ভ্রান্ত ফ্যাশন তৈরি করতে অসুবিধে হয়নি আপনার?
তাঁতীদের কাছে যে ধরনের স্টক ছিল তাই নিয়েই ডিজাইন করেছি। এটা যে লোকে কিনতে চাইবে সেটাও ভাবিনি। কিন্তু সবার এত ভাল লেগেছে, সব পোশাকই প্রায় বিক্রি হয়ে গিয়েছে।
আপনি এখন বাচ্চা মেয়েদের জন্যও তো ডিজাইন করছেন।
আমি আমার বন্ধুর মেয়েদের জন্য প্রথমে ডিজাইন করা শুরু করি। তার পরে এত বেশি চাহিদা হতে লাগল যে বাচ্চা মেয়েদের জন্য কালেকশন তৈরি করতে শুরু করি।
পুরুষদের জন্য একটা কালেকশনও তো করেছেন।
হ্যাঁ, করেছিলাম। কিন্তু সেটা নিয়ে আমি খুব সন্তুষ্ট নই। পুরুষদের জন্য ডিজাইন করাটা খুব বোরিং ব্যাপার।
ডিজাইনিংয়ে এর পর আর কী ঘটতে চলেছে?
ডিজাইনারেরা এখন বাচ্চাদের মার্কেটে ঢুকবেন। বাচ্চাদের পোশাকের ফ্যাশন উইক-ও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।
এই মরসুমে ফ্যাশনের জন্য আলমারিতে কী কী থাকা খুব জরুরি?
কলকাতার গরমে দেরাজে সাদা পায়জামা বা প্যান্ট থাকাটা খুব জরুরি। তার ওপরে যে-কোনও রঙের কুর্তা বা এ-লাইন ড্রেস ভাল লাগে। হ্যান্ডলুমের কাপড়ের ওপরে ডিজাইনার পঞ্চো বা শার্ট বা র্যাপ ম্যাচ করালে কম বাজেটে হাই ফ্যাশন লুক-টা পাওয়া যাবে।