পরিচালক দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
‘খোসলা কা ঘোসলা’ হোক, ‘সন্দীপ অউর পিঙ্কি ফারার’ বা ‘এল এস ডি’, পরিচালক দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের একটা আলাদা ছাপ সব সময় রেখেছেন। মুক্তির অপেক্ষায় তাঁর নতুন ছবি ‘এলএসডি ২’। তিন জন নতুন মুখকে দেখা যাবে সেই সিনেমায়। তাঁদের নাম বনিতা রাজপুরোহিত, পরিতোষ তিওয়ারি এবং অভিনব শর্মা। মূলত এই তিন নতুনকে নিয়েই কথা হল আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে।
প্রশ্ন: তিন জন নতুন মুখ নিয়ে নতুন ছবি করার কি প্রয়োজন ছিল?
দিবাকর: কারণ ওদের আমি সস্তায় পেয়েছি। ‘এলএসডি’ ফ্র্যাঞ্চাইজ়িকে আমি প্রথম দিন থেকেই সস্তায় বানাতে চেয়েছিলাম। কারণ, যে ধরনের বিষয় এই ছবিতে আমরা দেখে থাকি, সেটার জন্য প্রযোজক পাওয়া দুষ্কর। আমাদের ‘স্টার সিস্টেম’-এ যে ভাবে কাজ হয়, সেটা আমার কোনও দিনই পছন্দ নয়। আর আমি ওই ভাবে কাজ করতে গেলে ‘বোর’ হয়ে যাব, যদিও অর্থ উপার্জন করতে ভালবাসি। তাই একদম নিরুপায় না হলে আমি স্টারদের সঙ্গে কাজ করি না।
প্রশ্ন: বনিতা, অভিনব আর পরিতোষ— এঁদের নিয়ে আপনার কী অভিমত?
দিবাকর: যে ধরনের চরিত্রে এরা কাজ করেছে, তার জন্য আমার দরকার ছিল এমন মুখ, যাদের কেউ চেনেন না। ‘এলএসডি ১’ যখন বানিয়েছিলাম, তখন রাজকুমার, নুসরতকে কেউ চিনতেন না। এখন এদের সকলেই চেনেন। বনিতা আমাদের কমার্শিয়াল হিন্দি ফিল্মের প্রথম ট্রান্স-উওম্যান হিরোইন। অভিনব, যে ছবিতে একজন গেমারের চরিত্রে অভিনয় করছে, ও যে ভাবে সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করেছে, আমার মনে হয় না, অন্য কোনও ‘স্টার’ অভিনেতা সেটা ক্যামেরার সামনে করতে পারতেন। পরিতোষের চরিত্র নুর, যে পুরুষ থেকে মহিলাতে রূপান্তরিত হতে চলেছে, তার আচরণ, ভঙ্গিমা সবই এক জন মহিলার মতো। আমাকে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন, এই তিন জন নবাগতদের কী ভবিষ্যৎ। আমার একটাই জবাব, আমি জানি না। কারণ ওরা ওদের ভবিষৎ নিজেরা বানাবে।
ছবি: সংগৃহীত।
প্রশ্ন: ‘এল এস ডি’র অন্যতম আকর্ষণ ছিল ছবির সঙ্গীত। এ বার ছবির সঙ্গীত নিয়ে আপনার কী মত?
দিবাকর: ২০১০-এ যখন ‘এলএসএসডি’ বানিয়েছিলাম তখন দর্শক-শ্রোতা কিন্তু এতটা বিভ্রান্ত ছিলেন না, যতটা আজ হয়ে গিয়েছেন। এই ছবিতে আমাদের মতের সঙ্গে মিউজ়িক লেবেলও তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই যে সঙ্গীতটা আমরা পেয়েছি, সেটা আমি আমার ভাষায় বলব, ‘খিচুড়ি’। জুবিন নটিয়াল, টনি কক্কর, স্নেহা, আর এ বার আমিও আবহ এবং সুর করেছি। আজকাল আপন ইচ্ছানুসারে সঙ্গীত সৃষ্টি করা যায় না। মিউজিক-লেবেল থেকে দর্শক— সবার সম্মতি চাই।
প্রশ্ন: এত সাহসী বিষয়ের ওপর সিনেমা আপনি ওটিটি- তে বানালেন না কেন?
দিবাকর: কারণ, ছবির প্রযোজক একতা কপূর চেয়েছিলেন ছবিটা আমরা বড় পর্দার জন্য বানাই। আর যাঁদের থিয়েটারে গিয়ে ‘এলএসডি ২’ দেখতে লজ্জা করবে, তাঁরা পরে নিজের বাড়িতে ঘরে বসে ওটিটিতে দেখবেন।
প্রশ্ন: ‘ব্যোমকেশ বক্সী’ বানিয়ে আপনি বাঙালির মন জয় করেছিলেন। সেটা নিয়ে ভবিষ্যতে কোনও পরিকল্পনা আছে?
দিবাকর: পরিকল্পনা অনেক কিছুরই আছে, কিন্তু সেটা বাস্তবে পরিণত করার পিছনে অনেক কিছু নির্ভর করে। আর সব সময় নতুন কিছু করা খুব কঠিন। তার জন্য সময় লাগে।