সোহিনী
যাঁর বায়োপিকে অভিনয় করতে চাই তিনি চার্লি চ্যাপলিন। মানুষটার জীবনে এত ওঠা-পড়া যে, অভিনেত্রী হিসেবে লোভ জন্মায়। কিন্তু আমার পক্ষে ওঁর বায়োপিকের কেন্দ্রচরিত্র হওয়া সম্ভব নয়। সানি লিওনের বায়োপিক করতে পারলেও খারাপ হবে না। ওঁর জীবনটাও ভীষণ সিনেম্যাটিক। আর একজন হলেন ইন্দিরা গাঁধী। শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা। সেখানেও ওঁর সম্পর্কে নানা রকম গল্পকথা শোনা যায়। তার পর রাজনীতি। ছেলের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক... অজস্র বাঁক চরিত্রটায়। এই রকম মাল্টি শেডেড চরিত্র পেলে দারুণ হতো!
শিবপ্রসাদ
পরিচালক হিসেবে গওহর জানের চরিত্র আমায় সব সময় টানে। আমাদের পরিকল্পনাও আছে ওঁকে নিয়ে বায়োপিক করার।হয়তো বছর দু’য়েকের মধ্যে করবও। আসলে পিরিয়ড ছবির বাজেট বেশি হয় বলে সময় লাগছে। আর একটি বায়োপিক আমরা প্রযোজনা করছি। সেটা পাভেলের ‘রসগোল্লা’। নবীনচন্দ্র দাসের জীবনের গল্প নিয়েই ছবিটা।
প্রিয়ঙ্কা
যাঁর বায়োপিকে অভিনয় করতে পারলে নিজের অভিনেত্রী সত্তাকে সার্থক মনে করব, তিনি গীতা দত্ত। ‘ওয়ক্ত নে কিয়া কেয়া হাসিন সিতম’, ‘বাবুজি ধীরে চলনা’... কী সব গান গেয়েছেন উনি! আর জীবনটা সে রকম! এত চড়াই-উতরাই। ওঁর চরিত্রে অভিনয় করতে পারলে, আমার লিপে যা সব গান থাকবে! সেই স্মৃতি রোমন্থন করে আর গানগুলো গুনগুনিয়ে আমার বাকিটা জীবন কেটে যাবে। আর একজনের চরিত্র করতে পারলে ভাল লাগবে। দুর্ধর্ষ চরিত্রাভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর জীবনটাও অসম্ভব সিনেম্যাটিক।
অঙ্কুশ
আমার খুব ইচ্ছা, এমন কারও বায়োপিকে অভিনয় করব যিনি সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাননি। কোনও রকম সাহায্য ছাড়াই জিরো থেকে হান্ড্রেড হয়ে দেখিয়েছেন। তাঁকে যে খুব বিখ্যাত বা জনপ্রিয় হতে হবে তেমনটাও নয়, কিন্তু জীবনে কোনও ছাপ রেখে গিয়েছেন। সেই চরিত্রটা করতে পারলে খুশি হব। জনপ্রিয় কারও বায়োপিক করার মধ্যে আমি চ্যালেঞ্জ দেখতে পাই না।