—প্রতীকী চিত্র।
পুজোর ছবির ব্যবসা নিয়ে নজরকাড়া প্রচার টলিপাড়া দেখেছে। কিন্তু ঘনিষ্ঠ মহলে আলোচনা শোনা যাচ্ছে, আদতে টলিপাড়ার প্রযোজনা সংস্থার একাংশের অবস্থা বেশ শোচনীয়। এর আগে প্রযোজনা সংস্থা ‘শ্যাডো ফিল্মস’-এর ‘কঠিন’ অবস্থার কথা জানিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। টলিপাড়ার অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, আরও এক নামী সংস্থার ভাঁড়ারে টানাটানি দেখা যাচ্ছে।
এক সময়ে মুম্বইয়ে হিন্দি ছবির প্রযোজনা করেছে প্রমোদ ফিল্মস। সম্প্রতি বাংলায় একাধিক ছবির ঘোষণা করেছে। তাদের সাম্প্রতিক ছবি ছিল কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ‘পালান’। এই ছবি সমালোচকদের পছন্দ হলেও বক্স অফিসে সাড়া ফেলতে পারেনি। সূত্রের খবর, প্রযোজনা সংস্থার একাধিক ছবির কাজ পুঁজির অভাবে বন্ধ হয়ে রয়েছে।
এই মুহূর্তে প্রযোজনা সংস্থার অধীনে পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্য ‘গাজনের ধুলোবালি’ ছবিটির শুটিং করছেন। ছবিতে রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং ঋত্বিক চক্রবর্তী। ছবির প্রথম শিডিউলের শুটিং শেষ হয়েছে। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে ইন্দ্রাশিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি শুনে অবাক হলাম। কারণ ১৪ তারিখ থেকে আমার ছবির শুটিং শুরু হওয়ার কথা! বাকিদের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’’
তবে ইন্ডাস্টির সূত্র অন্য কথা বলছে। এই সংস্থা প্রযোজিত একাধিক ছবির কাজ নাকি আপাতত বন্ধ হয়ে রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, পৃথা চক্রবর্তী পরিচালিত ‘পাহাড়গঞ্জ হল্ট’ ছবিটির কিছু কাজ এখনও নাকি বাকি। অন্য দিকে, সংস্থার সঙ্গে পরিচালক অর্জুন দত্ত তাঁর নতুন ছবির পরিকল্পনা করেছিলেন। পুজোর পরেই এই ছবির শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছবির শুটিং আপাতত পিছিয়ে গিয়েছে বলেই খবর। এখানেই শেষ নয়, পরিচালক অরুণ রায় এই সংস্থার অধীনেই তৈরি করেছেন ‘আবার অরণ্যের দিনরাত্রি’ ছবিটি। এই ছবিতে জিতু কমল রয়েছেন। ছবির শুটিং শেষ। সম্পাদনার কাজও বেশ কিছুটা এগিয়েছে। কিন্তু সূত্রের দাবি, ছবির কিছু অংশ আবার নতুন করে শুটিং করার কথা ছিল। কিন্তু তাতে সম্মতি ছিল না প্রযোজকের।
ইন্ডাস্ট্রির এক সূত্রের দাবি, ‘পালান’-এর ফলাফল দেখে প্রযোজক জল মেপে এগোতে চাইছেন। একসঙ্গে একাধিক ছবি ঘোষণা করে তার পর তা সামাল দিতে নাভিশ্বাস উঠেছে, এমন কথাও ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে ঘুরছে। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে প্রমোদ ফিল্মস-এর কর্ণধার প্রতীক চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মুম্বই থেকে প্রতীক বললেন, ‘‘কী ভাবে এ রকম খবর রটছে জানি না। ‘পালান’-এর শুটিংয়ের সময় একটু চাপ ছিল। কিন্তু আমি কোনও ছবি বন্ধ করিনি।’’ তা হলে যে ছবিগুলোর কাজ এখনও বাকি আছে সেগুলো নিয়ে কী পরিকল্পনা তাঁর? প্রতীক বললেন, ‘‘ডেট নিয়ে কথা চলছে। চূড়ান্ত হলেই কাজ শেষ হবে। তা ছাড়া আমি খুব শীঘ্র আরও প্রায় ২০টি ছবির ঘোষণা করতে চলেছি। বাজেট না থাকলে নিশ্চয়ই এ রকম কোনও ভাবনা নিয়ে এগোতাম না।’’