Indraadip Dasgupta

‘আগন্তুক’-এর পরের ছবিতে ঋদ্ধি সেন থাকছে: ইন্দ্রদীপ

‘কেদারা’-র জন্য জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর নতুন ছবি ‘আগন্তুক’-এর কাছে হাত দিয়েছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানালেন তাঁর পরবর্তী ছবির কথা।

Advertisement

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৯ ১৫:৪১
Share:

ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত।

‘আগন্তুক’না ‘কেদারা’,মানুষ কী নিয়ে কথা বলছেন?

Advertisement

আলোচনা চলছে আগন্তুক নিয়ে। আর মানুষ ‘কেদারা’দেখতে চাইছে। নভেম্বরে আসছে ‘কেদারা’।

Advertisement

প্রথম ছবির বিষয় একাকীত্ব কেন?

আমি মানুষটা একা থাকি। সেখান থেকেই গল্প বোনা। ‘কেদারা’ তৈরি। দেখুন।মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবে প্রায় ২৬ বছর হয়ে গেল। কিন্তু আমার অনেক গল্প বলার আছে। আমি দীর্ঘদিন একা থাকি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমি একা থাকা নিয়ে যা সঞ্চয় তাই ‘কেদারা’-র গল্পে জারিত হয়েছে। আপনি যদি একা থাকেন দেখবেন আপনার ওই একা থাকার সঙ্গে মেক শিফ্ট একটা ভার্চুয়াল পৃথিবী তৈরি হয়। ‘কেদারা’সেই পৃথিবীর মুক্ত আকাশ। সেই পৃথিবীর কথাই বলে।আপনি একা, কিন্তু ঘরের মধ্যে একটা আলো আছে, পাখা আছে। আসলে তো একা নন।

আসলে কেউ একা থাকতে পারে?

নাহ্, আমরা একা থাকি বলি। একা থাকতে চাই বলি। আসলে কোনও মানুষ একা থাকতে পারে না। কোনও না কোনও সাহচর্যে সে বাস করে।কেউ মানুষের সাহচর্যে বাঁচে। কেউ বানিয়ে নেওয়া পৃথিবীর সাহচর্যে থাকে। কেউ ভাবনার সাহচর্যে থাকে। এই জায়গা থেকেই একটা ঘরের মধ্যে ‘কেদারা’তৈরি হয়েছে।আর ‘কেদারা’-র আর একটা সম্পদের কথা বলি।যাঁকে ছাড়া আমি ‘কেদারা’করতে পারতাম না। কৌশিকদা (গঙ্গোপাধ্যায়)। কৌশিকদা রাজি না হলে ‘কেদারা’হত না।

ছবিতে এক মহিলার কণ্ঠস্বর ফিরে ফিরে আসে...

হ্যাঁ। ঠাকুমা, মাসি এ ছবিতে সবাই আছে। আমি লতা মঙ্গেশকরের বায়োগ্রাফি থেকে জেনেছি উনি একা থাকলে, ক্রাইসিসের সময় তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। কেন? উনি মনে করেন, ওঁর বাবা-মা ফিজকালি প্রেজেন্ট না থেকেও পাশে আছেন। এটা বাস্তব...

আরও পড়ুন- মোদীর পরে এবার বাজপেয়ীর বায়োপিক!

প্রথম ছবিতে জাতীয় পুরস্কার। কী মনে হচ্ছে?

কিছুই মনে হচ্ছে না। শুধু মনে হচ্ছে আরও গল্প বলার আছে। তবে এরকম হয়তো হবে, অনেক পরিচালক ভাববেন আমি নিজেই পরিচালক হয়েছি তাই তাঁদের ছবিতে আর সঙ্গীতের কাজ দেবেন না তাঁরা। তাঁরা আমায় দিয়ে সঙ্গীত করাবেন না। যাঁরা করিয়েছেন, যেমন সৃজিত, রাজ, কৌশিকদা, তাঁরা করাচ্ছেন।করাবেন আশা করি। তবে আমার সঙ্গীতের কারখানা যেমন চলছিল তেমন চলবে। এটা কোথাও কম্প্রোমাইজ হবে না। এটা বলতে চাই। ছবি করা আসলে একটা অন্য দিক। সবচেয়ে বড় কথা, প্রথম ছবিতে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড এসেছে, কিন্তু আমায় ছবি নির্মাণে নিজেকে প্রুফ করতে হবে। এটা বার বার মনে হচ্ছে।

আজকের ইন্ডাস্ট্রিতে দাঁড়িয়ে ‘কেদারা’-র মতো ভিন্নধারার ছবি করলেন প্রথমেই। কতটা সাহসী আপনি?

সাহস আমার আছে। যখন জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বোল ডান্স ফ্লোরে বাজছে তখন ‘আসতোমা সাতগময়া’বানিয়েছিলাম। সাহস তো লেগেছিল তখন ওই কাজ করতে। হ্যাঁ, সাহস আছে। দুঃসাহস নেই। জেনুইনলি কিছু করলে, ভেতর থেকে বিশ্বাস নিয়ে কিছু করলে সেই বিশ্বাসকে মানুষ মর্যাদা দেয়।এটা জানি।

কেদারা সিনেমার পোস্টার

শুধু বাজারে হিট হবে এমন ছবি বানাবেন কি?

আমি সহজ সরল ছবিও বানাবো। তবে যা-ই বানাই ইসু অ্যাড্রেস না করে ছবি হবে না। প্রথম ছবিতে আর্টিস্টের ক্রাইসিস দেখানো হল। হরবোলা তো একজন আর্টিস্ট। তাকে কেউ ডাকে না। তাই বলে সে কি আর্টিস্ট নয়? শিল্প কি পণ্য হয়ে গেছে?কবীর সুমন বলেছেন না,‘যদি ভাব কিনছো আমায় ভুল ভেবেছো’। শিল্পীকে তো কেনা যায় না। আপোষকে কেনা যায়। শিল্পীকে নয়।

আপনার আপোষ বিক্রি হয়েছে?

আমি আপাতত আপোষহীন আছি। দেখা যাক কতদিন পারি।

আপনার পরের ছবিতে আবির-সোহিনী কেন?

ছবিটা দেখলে বোঝা যাবে। তারপরের ছবিও ঠিক হয়ে গেছে।

‘আগন্তুক’-এর মিউজিক কে করছে?

আমি। তবে তারপরের ছবিতে মিউজিক অন্য কেউ করবে।

ইন্দ্রদীপের পরবর্তী ছবি ' আগন্তুক'

তাই!কী ছবি?

নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। হয়তো ‘বিসমিল্লা’নাম হবে। দেখি কী হয়! তবে ঋদ্ধি সেন থাকছে এই ছবিতে।

আপনি কি সারাক্ষণ লেখেন?

ভাবি। লিখি হোয়াটস্অ্যাপে। হয় শ্রীজাত, নয় পদ্মনাভকে পাঠাই। ভাবি আর পাঠাই। এই চলছে...

কতটা নির্ভর করেন ওঁদের ওপর?

নির্ভরতা আসবে আমার নির্ভরযোগ্যতার ওপর। আপনি বিছানাকে যতটা শরীর দেবেন বিছানা ততটাই নেবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement