‘ইমার্জেন্সি’ ছবিতে ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করছেন কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত।
আশঙ্কাই সত্যি হল। স্থগিত হল কঙ্গনা রানাউতের ‘ইমার্জেন্সি’-র মুক্তি। কথা ছিল, আগামী ৬ সেপ্টেম্বর সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সাংসদ-অভিনেত্রী পরিচালিত ও অভিনীত এই ছবিটি। কিন্তু বিতর্কের আবহে ছবির মুক্তি সত্যিই পিছিয়ে দেওয়া হল। মনে করা হচ্ছে, পরবর্তী দশ দিনে এ ছবির মুক্তি ঘটতে পারে। তবে, সব কিছু এত সহজে না-ও মিটতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ঠিক কবে মুক্তি পেতে পারে কঙ্গনা রানাউতের প্রথম পরিচালিত ছবিটি, তা এখনও স্থির করা যায়নি। সেন্সর বোর্ডে ছাড় পায়নি বলেই এই সমস্যা। কঙ্গনা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে কোনও কোনও সংগঠনের তরফে। এর আগে ছবিতে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ তুলেছিলেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। তার জেরেই বিতর্কিত এই ছবিটি ঘিরে দানা বাঁধতে শুরু করে আশঙ্কার মেঘ।
একটি ভিডিয়ো টুইট করে কঙ্গনা দাবি করেন, প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তাই ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন’ এই ছবির প্রদর্শন স্থগিত রেখেছে। কঙ্গনা বলেন, “প্রাথমিক ভাবে ছাড়পত্র মিললেও হুমকির কারণে তা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বোর্ড। এমনকি সেন্সর বোর্ড সদস্যদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে।”
কঙ্গনা দাবি করেছেন তাঁর উপর ছবির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ মুছে ফেলার জন্যও চাপ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে, ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা, অর্নাইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে বা পঞ্জাব দাঙ্গার প্রসঙ্গ। এমন পরিস্থিতিতে কঙ্গনা যে খুবই আশাহত হয়েছেন এবং চাপের মুখে রয়েছেন সে কথাও জানিয়েছেন নিজের ভিডিয়োবার্তায়।
এর আগে শিরোমণি অকালি দল সেন্সর বোর্ডের কাছে ছবি মুক্তি না দেওয়ার আবেদন জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। তাদের দাবি, এ ছবি শিখ ভাবাবেগে আঘাত করছে। এ ছাড়া, মধ্যপ্রদেশে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে জবলপুরে একটি শিখ সংগঠনের তরফে। এই মামলার শুনানি সোমবার শুরু হবে।