সোনু, শিল্পা, প্রসেনজিৎ
দেশের স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছর। উদযাপনের বদলে দেশবাসীর মনে আতঙ্কের ছায়া। সৌজন্যে করোনা সংক্রমণ। যার দুটো ঢেউয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই টালমাটাল ভারতও। এমন সঙ্কট মুহূর্তে সমস্ত দেশবাসীর একজোট হওয়া খুবই প্রয়োজন। সেই মতোই দেশকে রক্ষা করার নতুন শপথ নিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। কী সেই শপথ? ‘আমি’-র বদলে ‘আমরা’ হয়ে করোনা থেকে দেশকে রক্ষা করা। একা প্রসেনজিৎ নন, এই শপথ নিতে ১৫ অগস্ট নেটমাধ্যমে তাঁর সঙ্গে এক মঞ্চে উপস্থিত বিশ্বের তাবড় ব্যক্তিত্ব। তালিকায় স্টিভেন স্পিলবার্গ, এ আর রহমান, সোনু সুদ, নাগার্জুন, বিদ্যা বালন, করণ জোহর, অজয় দেবগন, মণীশ মালহোত্রা, শিল্পা শেট্টি, কে নেই! অনুষ্ঠানের সূত্রধর রাজকুমার রাও।
প্রসেনজিতের মতে, গত দেড় বছর ধরে করোনা সংক্রমণ আটকাতে লকডাউন চলেছে। যার গভীর প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোয়। দীর্ঘ দিন ধরে টলিউড, বলিউডে ছবি তৈরির কাজ বন্ধ। বন্ধ প্রায় সমস্ত কলকারখানা, সরকারি-বেসরকারি অফিস। ছাঁটাইয়ের জেরে বেকারত্ব বাড়ছে। দৈনিক মজুরেরা কাজ হারিয়ে অনাহারে, অর্থাভাবে পথেই প্রাণ হারাচ্ছেন। খবর, তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই কড়া নাড়ছে দেশের দরজায়। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শিশুরা। টলিউডের অন্যতম স্তম্ভের তাই দাবি, আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে ‘আমি’ থেকে ‘আমরা’ হওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। তার জন্য তিনি সবাইকে মুক্ত হস্তে দানের অনুরোধ জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘উই ফর ইন্ডিয়া’-য়।
দেশ যত বার প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অতিমারির মুখোমুখি হয়েছে, দেশবাসীকে বাঁচাতে বিনোদন দুনিয়া বড় ভূমিকা পালন করেছে। এর আগে শিল্পীরা পথে নেমে ত্রাণ তহবিল গড়েছেন। সংক্রমণের কারণে এ বার সেটি সম্ভব হয়নি। বদলে বলিউডের সমস্ত অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালক, ফ্যাশন ডিজাইনার, গায়ক,গায়িকা তাঁদের মতো করে অর্থ সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা দর্শক-শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন নাচ, গান, নিজেদের অভিজ্ঞতা।
সোনু সুদের দাবি, গত বছর পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু দেখে তিনি শিউরে উঠেছিলেন। তখনই তাঁর মনে হয়েছিল, এ বার কিছু করা উচিত। সেই অনুভূতি নিয়েই তিনি এগিয়ে এসেছেন। পাশে পেয়েছেন বহু জনকে। যাঁদের সাহায্যে তিনি লাখখানেক শ্রমিককে সুস্থ ভাবে বাড়ি পাঠাতে পেরেছেন। সোনু আজ দেশের উদাহরণ, দেশবাসীর ভরসা। শুধু পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পাঠিয়েই থামেননি তিনি। রাজ্যে রাজ্যে পাঠিয়েছেন অক্সিজেন প্লান্ট। কর্মহীন, আশ্রয়হীন, অর্থহীন, চিকিৎসাহীনদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
মালাইকা অরোরা-অর্জুন কপূর গত বছর করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে তাঁদের দাবি, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে, শরীরের যত্ন নিলে, ডাবল মাস্ক পরলে, প্রতিষেধক নিলে এবং সাবধানতা অবলম্বন করলে এই রোগের সঙ্গে অনায়াসেই মোকাবিলা করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে যোগব্যায়াম প্রাণায়াম এবং কপালভাতির সাহায্যে সবাইকে সুস্থ রাখার উপায় বাতলে দিয়েছেন শিল্পা শেট্টি।