সহজিয়া উৎসব ২০২৩। —ফাইল চিত্র।
তিলক মহারাজ, বাংলার লোকসঙ্গীতের জগতে শ্রীখোল বাদনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম। তাঁর দীর্ঘ সঙ্গীতজীবনে দেশে-বিদেশে সঙ্গত করেছেন রবিশংকর, গোষ্ঠ গোপাল দাস, পূর্ণ দাস বাউল, সনাতন দাস বাউল, পবন দাস বাউল, নিমাই বৈরাগী, গৌর ক্ষ্যাপা, কালাচাঁদ দরবেশ-সহ বাংলার বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পীদের সঙ্গে। ২০১৩ সালে তাঁকে ‘সহজিয়া সম্মানে’ ভূষিত করা হয়। ভারতীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক, পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্যোগে ও সহজিয়া ফাউন্ডেশনের সহায়তায়, ‘গুরু-শিষ্য পরম্পরা’র শ্রীখোল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গুরু হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি গত এক বছর।
‘সহজিয়া ফাউন্ডেশন’-এর আয়োজনে গত ১৭ নভেম্বর বিকালে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তিলক মহারাজের উদ্দেশ্যে আয়োজিত ‘একাদশ সহজিয়া উৎসব’। উপস্থিত ছিলেন দেবদাস বাউল, মনসুর ফকির, গৌতম দাস বাউল, স্বপন বসু, তন্ময় বসু, হিরণ মিত্র, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, উপল (চন্দ্রবিন্দু), সিধু (ক্যাকটাস), মনোময় ভট্টাচার্য, হৃদিস্রোতা, ঋষভ, স্বর্ণাভ, নাজমুল, শোভনসুন্দর, মৌনীতা, সহজ সুরের পাঠশালা প্রমুখ। এই অনুষ্ঠানে দেব চৌধুরীর পরিচালনায় ‘সহজ সুরের পাঠশালা’র ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গীতও ছিল। যা সদ্যপ্রয়াত সাধক গুরু সাধনদাস বৈরাগী, ঝুমুরিয়া সুভাষ চক্রবর্তী ও মহীনের ঘোড়াগুলির তাপস বাপি দাসের স্মৃতির উদ্দেশে নিবেদিত। উৎসবের এক বিরল মুহূর্ত তন্ময় বোসের হাতের জাদুতে পরিবেশিত একটি মহাজনি গান। এ বছর ‘সহজিয়া সম্মান’ পেয়েছেন শ্রীখোল গুরুশ্রী গোপাল বর্মণ ও গিটার গুরুশ্রী টুটুল গঙ্গোপাধ্যায়।