করোনায় কাবু বিনোদন দুনিয়া?
ঘটনা ১: করোনায় আক্রান্ত পরিচালক মণি রত্নম। চেন্নাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। কেমন আছেন পরিচালক? সঠিক খবর এখনও জানা যায়নি।
ঘটনা ২: সোমবার থেকে জ্বরে কাবু ইশিকা দে। কিছু দিন আগেই তিনি কলকাতায় তাঁর নতুন বাংলা সিরিজ ‘আয়না’-র শ্যুট করে গিয়েছেন। পাশাপাশি, মুম্বইতেও তিনি শ্যুটে ব্যস্ত। ফলে, কী ভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জানা যায়নি। তবে তাঁর জ্বর ১০২-এর উপরে। উঠতে পারছেন না। রান্না করা খাবার পাঠাচ্ছেন পড়শিরাই।
ঘটনা ৩: অসুস্থ পর্দার ‘শর্মিলা ঠাকুর’ রাতাশ্রী দত্তও। অতনু বসুর ‘অচেনা উত্তম’ ছবিতে তিনি পতৌদি-ঘরনি। ২২ জুলাই ছবি-মুক্তি। চিন্তিত রাতাশ্রী আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, সোমবার রাতে বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিলেন। তার পর থেকেই গলায় অসম্ভব ব্যথা। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। কথা বলতে, ঢোঁক গিলতে কষ্ট হচ্ছে। বাড়িতেই কিট দিয়ে পরীক্ষা করে তার পর তিনি চিকিৎসকের কাছে যাবেন। এমনই পরামর্শ দিয়েছেন তাঁর চিকিৎসক।
২০২০-২১-এর মতোই কি বিনোদন দুনিয়া ফের কাবু করোনায়? সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ফি-দিন লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। বলিউডের মতোই টলিউডেও ফ্লোরে ফ্লোরে প্রচণ্ড ব্যস্ততা। কী অবস্থা স্টুডিয়োগুলিতে? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল অভিনেতা, প্রযোজক, রূপসজ্জাশিল্পী এবং আর্টিস্ট ফোরামের সঙ্গে। কী বলছেন তাঁরা?
অম্বরীশ ভট্টাচার্য এই মুহূর্তে ছোট-বড় পর্দা মিলিয়ে খুবই ব্যস্ত। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ‘প্রজাপতি’-তে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি ‘খড়কুটো’, ‘গুড্ডি’ ধারাবাহিকেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন। অভিনেতার দাবি, ফ্লোরে এখনও যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। শ্যুটিং বাদে বাকি সময় মাস্ক পরে থাকছেন সবাই। বেনিয়মের কোনও উপায় নেই। ফলে, সংক্রমণের খবর তাঁর কানে আসেনি। রূপসজ্জাশিল্পী হেমা মুন্সী জানিয়েছেন, সবাই প্রচণ্ড সাবধানী, এ কথা বলা যাবে না। আবার রোগটিকে অবহেলা করছেন, এমনও নয়। সবাই প্রতিষেধক, বুস্টার ডোজ নিয়ে কাজ করছেন। ফলে, ভয়টা তুলনায় কমেছে। তবে মাস্কের ব্যবহার একেবারে বন্ধ হয়নি। সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর আসতেই ফের সবাই দূরত্ব বজায় রাখছেন। শ্যুট নেই মানেই সবার মুখ ঢাকা।
আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বিষয়টি নিয়ে কী ভাবনা আর্টিস্ট ফোরামের? প্রশ্ন রাখা হয়েছিল সহকারী সম্পাদক দিগন্ত বাগচির কাছে। দিগন্তের কথায়, ‘‘সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, সংক্রমণ বাড়ছে। মাস্ক থেকে স্যানিটাইজার তাই সব কিছুই মজুত স্টুডিয়োপাড়ায়। এখন তো এগুলোর ব্যবহার অভ্যেসে পরিণত হয়েছে।’’ তবে সেটে আক্রান্তের কোনও খবর নেই। তাই এক্ষুণি কোনও পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে না আর্টিস্ট ফোরাম। বরং তাঁরা সরকারি পদক্ষেপের অপেক্ষায়। দিগন্তের দাবি, তেমন বাড়াবাড়ি কিছু হলে আর্টিস্ট ফোরাম, ফেডারেশন-সহ সমস্ত সংগঠন এক সঙ্গে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেবে।