বড় ছেলে সলমন খানের সঙ্গে একেবারে বন্ধুর মতো মেশেন সেলিম খান। ছবি: সংগৃহীত।
ছেলের বয়স প্রায় ৬০ হতে চলল, কিন্তু বাবার কাছে এখনও আগের মতোই রয়েছেন। বলিউডের ভাইজান পরিবারের হার্দিক বন্ধনের প্রসঙ্গ প্রায়ই ওঠে নানা মহলে। বাবা সেলিম খানের সঙ্গে বড় ছেলে সলমন খানের সম্পর্ক একেবারে বন্ধুর মতো। ছেলের যে কোনও কাজে সব সময় তাঁর পাশে থেকে সমর্থন জোগান সেলিম। কিন্তু সত্যিই কি সলমনের সব কাজ মনের মতো হয় বর্ষীয়ান চিত্রনাট্যকারের?
হয় না। সম্প্রতি সেলিম নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ছেলের সব কাজই তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারে না। আর তখন তিনি ছেলেকে শাস্তি দিয়ে সঠিক পথে নিয়ে আসতে চান। কী করেন সেলিম?
তাঁর কথায়, “ওর কোনও কাজ আমার অপছন্দ হলে বা ও ভুল করেছে বলে মনে হলে আমি কথা বলাই বন্ধ করে দিই। তখন হয়তো কোনও দিন আমি জানলার পাশে বসে আছি, সলমন পাশ দিয়ে হেঁটে চলে গেল। আমার সঙ্গে কথা না বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল।” বাবা-ছেলের মধ্যে এই বাক্যালাপ বন্ধ থাকে প্রায় মাসখানেক। বলিউডে প্রায় সকলেই জানেন সলমন বেশ একগুঁয়ে প্রকৃতির মানুষ। বাবার সঙ্গেও কি ঠিক তেমনই ব্যবহার করেন?
সেলিম বলেছেন, “তার পর একদিন ও আমার কাছে আসে। বলে, ‘আমি যা করেছি ভুল করেছি, ক্ষমা করে দাও’।” সেলিম মনে করেন এটা মনুষ্যত্বের লক্ষণ। আর সেটাই তিনি ছেলেকে শেখাতে চান। তাঁর কথায়, “যখন কোনও মানুষ সাফল্য পায়, তখন সে মানুষ হিসাবে নিজের উন্নতির কথা ভুলে যায়।” সেলিম মনে করেন এটা ঠিক বিষয় নয়।
ওই সাক্ষাৎকারে বাবা-ছেলের সম্পর্কের প্রসঙ্গে সেলিম তুলে ধরেছেন তাঁর মনের কথা। প্রবীণ চিত্রনাট্যকার মনে করেন বাবা-ছেলের সম্পর্কের মধ্যে ভয়ের কোনও জায়গা নেই। তাঁর বাবার সঙ্গে অবশ্য সেলিমের এমন ভয়ের সম্পর্কই ছিল বলে তাঁর দাবি। সেলিম বলেন, “মেঝেতে বাবার চামড়ার জুতোর শব্দ পেলেই ভয়ে কাঠ হয়ে যেতাম। আমি নিজে এ রকম ‘বাবা’ হতে চাইনি। সন্তানদের বন্ধু হতেই চেয়েছিলাম।”