হৃতিক ও টাইগার
একই ছবিতে গুরু ও শিষ্য। যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ একে অপরকে যে জমি ছাড়বেন না, তা সহজেই অনুমেয়। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে দু’দশক ধরে টিকে থাকা এশিয়ার সবচেয়ে সুদর্শন হিরো যখন পাঁচ বছর আগে আসা নায়ককে নিয়ে চিন্তায় থাকেন, তখন বিষয়টি তলিয়ে দেখতেই হয়।
সিদ্ধার্থ আনন্দের ‘ওয়র’-এ সম্মুখসমরে হৃতিক রোশন ও টাইগার শ্রফ। হৃতিকের একনিষ্ঠ অনুরাগী টাইগার। প্রথম ছবির প্রচারের সময় থেকেই সে কথা বারবার বলেছেন জ্যাকি-পুত্র। কেরিয়ারের পাঁচ বছরের মধ্যেই আইডলের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের সুযোগ পেয়ে টাইগারের এই প্রজেক্ট নিয়ে উচ্ছ্বাস খানিক বেশি হওয়া স্বাভাবিক। অন্য দিকে পরপর ধাক্কা খাওয়ার পরে ‘সুপার থার্টি’র সৌজন্যে হৃতিকের কেরিয়ারে সদ্য হাওয়া লেগেছে। টাইগারের কাছে এই সুযোগ যত বড়, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ হৃতিকের কেরিয়ারের জন্যও। তাই লাইমলাইটের সিংহভাগ নিজের দিকে ঘোরাতে মরিয়া হৃতিক।
শোনা গিয়েছে, যশ রাজ প্রযোজনা সংস্থার প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল, ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে এই ছবির প্রথম পোস্টার ও টিজ়ার লঞ্চ করা হবে। কিন্তু ভারত সেমি-ফাইনালে হেরে যাওয়ায় সেই প্ল্যান ভেস্তে যায়। ইতিমধ্যে হৃতিক প্রযোজনা সংস্থার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ফোন করে জানান, ছবির অফিশিয়াল পোস্টার লঞ্চের আগে তাঁর সোলো পোস্টার যেন বার করা হয়। যে পোস্টারে তাঁর চরিত্রকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে দর্শকের সামনে আনা হবে। তবে এই ছবির শুরুর দিন থেকেই হৃতিক ও টাইগারের দ্বৈরথ নিয়েই প্রচার করা হয়েছে। তাই হৃতিকের কথায় বিশেষ আমল দেয়নি প্রযোজনা সংস্থা।
এ দিকে হৃতিকও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। পোস্টার ও টিজ়ার জনপ্রিয়তা পেলেও হৃতিকের মন তাতে ভরেনি। তাঁর জন্যই নির্ধারিত দিনের দু’দিন পরে মুক্তি পায় ছবির ট্রেলার। প্রথম ট্রেলারে হৃতিক ও টাইগারের সমান সমান স্ক্রিন প্রেজ়েন্স ছিল। সেখানেই আপত্তি তোলেন হৃতিক। তাই পরে যে ট্রেলার লঞ্চ করা হয়েছে, তাতে টাইগারের চেয়ে হৃতিককে বেশিক্ষণ ধরে দেখা যাচ্ছে স্ক্রিনে। ট্রেলারে টাইগারের উন্মুক্ত শরীর দেখানো নিয়েও নাকি আপত্তি হৃতিকের।
এর আগে ‘পদ্মাবত’-এ রণবীর সিংহের উদ্যোগে তাঁর স্ক্রিন প্রেজেন্স কাটছাঁট করায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন শাহিদ কপূর। এই ঘটনার পরে হৃতিকের প্রতি টাইগারের মোহভঙ্গ হয়েছে নিশ্চয়ই। তবে আইডলের বিরুদ্ধে তিনি কতটা মুখ খুলবেন, তা সময়ই বলবে।