ক’দিন হল মিলে গিয়েছে স্থায়ী জামিন। মাদক-কাণ্ডে ঢাকা আদালতে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার। তবে কি এখন পরির মতোই ফুরফুরে মেজাজে কাটছে পরীমণির? উত্তরের হদিশ ঝলকে-
দীর্ঘ লড়াই। তার পর মুক্তি। সেই উচ্ছ্বাস ধরা পড়ল পরীমণির হাসিতে। হলুদ রঙের সালোয়ার, কামিজ, দোপাট্টায় নায়িকা যেন হলদে পরি। খোলা চুলে, এক হাত ভরা কাচের চুড়িতে উপভোগ করছেন মুক্তির স্বাদ। ছবি দিয়ে লিখেছেনও সে কথা, ‘মুক্ত হও, পরিপূর্ণ ভাবে জীবন যাপন কর...’।
নীলাম্বরীর জমকালো সাজেও উথলে ওঠা সৌন্দর্য। সোনালি জরি পাড় নীল শাড়ির সারা গায়ে জরির সুতোর নকশা। এক ঢাল চুল ঘাড়ের কাছে হাতখোঁপা। কানে, গলায় নীল পাথরের গয়না। এক হাতে কাচের চুড়ি। অন্য হাতে সোনার কাঁকন! সাবেক সাজেই অনন্যা বাংলাদেশের কন্যে।
ফুল বড়ই প্রিয় ‘প্রীতিলতা’র। উপলক্ষ ছাড়াই ঘর সাজান ফুলে। পার্বণী মেজাজে মনের মতো করে সাজিয়েছিলেন বাড়ির অন্দর। টেবিলের ফুলদানিতে এক গুচ্ছ লিলি। ফুলের সামনে ফুলের মতোই যেন পরীমণির বসে থাকা।
শ্যাওলা, জলপাই রং লেহঙ্গা-চোলিতে পরীমণি নিজেই যেন রূপকথা।
ওড়নায় ঢেকেছে মাথা। কাঁধ বেয়ে ছড়িয়ে পড়েছে কোমর ছাপানো চুল। কাঁধ পর্যন্ত ঝোলা ঝুমকো। বাকিটুকু নিরাভরণ।
তাঁর থেকে চোখ ফেরানো দায়। বিপর্যয় পেরিয়ে আসা নিশ্চিন্ত আরাম বুঝি এ ভাবেই বাড়িয়ে দেয় স্নিগ্ধতা!