২০১৩ থেকে দেবের ছবির নিয়মিত দর্শক রুক্মিণী
১৭ বছর ধরে ‘সুপারস্টার’-এর তকমা তাঁর নামে পাশে। সেই অভিনেতা ‘কিশমিশ’-এর সেটে নাকি একটাই কথা আউড়েছেন, ‘‘আমাকে শেখাও!’’ বিশ্বাসযোগ্য? কিন্তু এটাই ঘোর বাস্তব। শনিবারের আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডা ‘অ-জানা কথা’য় এমনই তথ্য সামনে এনেছেন রুক্মিণী মৈত্র। তাঁর দাবি, শেখার তাগিদ এখনও প্রবল দেব অধিকারীর। তাই এই প্রজন্মের কাছেও জনপ্রিয় তিনি! ছ’টি ছবির নায়িকার থেকে এত বড় শংসাপত্র পেয়ে দেবের কী অনুভূতি? হাসিতে লজ্জা আর তৃপ্তি একাকার। এটাই সাংসদ-তারকা দেব।
২০১৫-য় আলাপ। ২০১৩ থেকে দেবের ছবির নিয়মিত দর্শক রুক্মিণী। তাঁর দেখা প্রথম ছবি ‘বুনো হাঁস’। তখন থেকে ‘চাঁদের পাহাড়’, ‘জুলফিকর’, ‘গোলন্দাজ’, ‘টনিক’ হয়ে ‘কিশমিশ’-- অভিনেতার ক্রমাগত নিজেকে ভাঙাগড়ার সাক্ষী নায়িকা। নিজেদের অভিনীত ছ’টি ছবি তো আছেই। বিশেষ করে ষষ্ঠ ছবি অর্থাৎ ‘কিশমিশ’-এ ছিপছিপে শরীরে, চলনে বলনে কথনে দেব নিজেকে কলেজ পড়ুয়া প্রমাণ করে ছেড়েছেন। আটের দশকের যুবকরা যা যা করতেন, পর্দায় হুবহু তা-ই করতে দেখা যাবে দেবকে। অভিনেতাকে দেখে অভিনেত্রী শিখেছেন, ভাল কিছু করতে গেলে জানার পাশাপাশি এক এক সময় কম জানাও দরকার হয়ে পড়ে।
নিজেকে ভাঙাগড়ার প্রসঙ্গে এর আগে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে মুখ খুলেছিলেন পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ও। সদ্য ‘গোলন্দাজ’-এর শ্যুট শেষ হয়েছে। দেব অধিকারীর ওজন তখন ১১০ কেজি। পরিচালক রাহুল ‘কিশমিশ’-এর গল্প শুনিয়েছেন। মুখ্য চরিত্রে দেব। গল্প অনুযায়ী চার রকমের চেহারায় দেখা যাবে তাঁকে। যার একটি কলেজপড়ুয়ার লুক। ছিপছিপে চেহারা, কোঁকড়া চুল। চোখে গোল ফ্রেমের চশমা। দেবকে সেই সময়ে রাহুল সবিনয়ে বলেছিলেন, ‘‘কলেজ পড়ুয়ার জন্য ২৩-২৪ বছরের ছেলেকে দেখে নিচ্ছি। তুমি ধীরে সুস্থে ওজন ঝরাও। বাকি চরিত্রগুলো তুমিই করবে।’’
শুনেই আন্তরিক অনুরোধ দেবের, ‘‘সে তুমি করতেই পার। কিন্তু লুক সেটের আগে আমায় একটা সুযোগ দাও। আমায় দেখে যদি মনে হয় অযোগ্য, নতুন অভিনেতা নিও।’’ দেড় মাস পরের ঘটনা। নির্দিষ্ট সময়ে রাহুলের অফিসে হাজির এক ছিপছিপে যুবক! লম্বা চুল হালকা কোঁকড়া। হাফ প্যান্ট পরা। চোখে গোল ফ্রেমের চশমা। সে দিন হাসি দেখে দেবকে চিনতে পেরেছিলেন পরিচালক।