কেরিয়ারে খুব কম দিনেই সাফল্যের ছোঁয়া পেয়েছেন। স্টারডম ধরা দিয়েছে তাঁর হাতের মুঠোয়। তিনি গায়ক হানি সিংহ। ‘ইয়ো ইয়ো হানি সিংহ’ নামেই তাঁর পরিচিতি। কিন্তু জানেন কি, তাঁর জীবনেও রয়েছে একটা ভয়ঙ্কর অন্ধকারময় দিক? বিতর্কে জড়িয়ে নানা সময় খবরের শিরোনামেও উঠে এসেছেন এই গায়ক।
গুঞ্জন উঠেছিল, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ছবির প্রমোশনাল ইভেন্টে হানি সিংহকে নাকি সজোরে থাপ্পড় কষিয়েছিলেন বলিউডের কিঙ্গ খান। যদিও এই চড় মারার ঘটনার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছিলেন হানির স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ার সামনেও নীরব ছিলেন হানি।
প্লেব্যাক করে শ্রোতাদের মন জিতেছেন আগেই। র্যাপ গানেও মাত করেছেন জেন এক্স ও জেন ওয়াইদের। ছক ভাঙা গানে বাজিমাত করলেও হানির গানের লিরিক্স মাঝে মাঝেই শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়েছে। হানি ও র্যাপ গায়ক বাদশার প্লেব্যাকে একটি গানের কথা নিয়ে একবার তুমুল বিতর্ক হয়। যদিও হানির দাবি ছিল, অন্য কেউ নাকি তাঁর গানের গলা নকল করেছিল।
র্যাপ গায়ক রাফতারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে খবরের শিরোনামে এনেছিলেন হানি সিংহ। নিজের অ্যালবামের একটি গান ‘সোয়াগ মেরা দেশি’-তে হানিকে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন রাফতার। শোনা যায়, দু’জনের বিবাদ নাকি বহু দূর গড়িয়েছিল।
হানি সিংহের গান তরুণ প্রজন্মকে বিপথে ঠেলে দিচ্ছে বলে দাবি তুলেছিল লুধিয়ানার একটি এনজিও। হানির ‘ছোটি ড্রেস মে বম্ব লাগতি তু’ বা ‘চার বোতল ভদকা’ ইত্যাদি গানে মহিলাদের প্রতি কুরুচিকর মন্তব্যের পাশাপাশি লিঙ্গ বৈষম্যের ছোঁয়া রয়েছে বলেও হানির গান বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘বস’ সিনেমাতে হানির গাওয়া ‘পার্টি অল নাইট’ গানের কিছু কথা শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়েছে বলে বিতর্ক চরমে ওঠে। সিনেমা থেকে গানটি নিষিদ্ধ করার জন্য নির্দেশ দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। পরে, ওই নির্দিষ্ট কথাগুলি বাদ দিয়ে সেন্সর বোর্ডের অনুমতি নিয়েই গানটি রিলিজ করা হয়েছিল।
গুজব উঠেছিল, মাদকের নেশায় নাকি বুঁদ হয়ে থাকেন হানি। শোনা গিয়েছিল, ড্রাগের ওভারডোজের কারণে নাকি বেশ কিছু দিন রিহ্যাবে ভর্তি ছিলেন গায়ক। তবে সেই দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে, পপ গায়ক জানিয়েছিলেন তাঁর নাকি বাইপোলার ডিজঅর্ডার রয়েছে। সেই কারণেই বি-টাউন থেকে বেশ কয়েক মাস বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।