ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের অন্যতম নামজাদা জুটি তাঁরা। তবে তাঁদের নিয়ে বিতর্কও অন্তহীন। বলিউডের বর্ষীয়ান তারকা ধর্মেন্দ্র ও ড্রিম গার্ল হেমা মালিনী। ৪৩ বছরের দাম্পত্য জীবন তাঁদের। প্রেম তো আছেই, তবে ঝগড়া-ঝামেলার পাল্লাও কম ভারী নয়। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিবাববিচ্ছেদ না করেই হেমাকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। ১৯৮০ সালে হেমার সঙ্গে সংসার পাতেন তিনি। সেই সময় হেমা বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা। তাঁর সৌন্দর্যে মুগ্ধ পরিচালক থেকে নায়কেরা। সেই বিষয়কেই নাকি খুব একটা ভাল চোখে দেখতেন না ধর্মেন্দ্র। এমনকি, নায়কদের সঙ্গে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি তুলতেও হেমাকে বারণ করতেন তিনি।
তখনও সাতপাক ঘোরেননি ধর্মেন্দ্র ও হেমা। বলিউডে তখন তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন সর্বত্র। তখন হেমার বাড়ির উল্টো দিকেই থাকতেন ধর্মেন্দ্র। প্রতি দিন সকালে এসে হেমার সঙ্গে ঝগড়া না করলে নাকি দিন শুরুই হত না ‘শোলে’ খ্যাত তারকার। এক সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্র জানান, হেমাকে খারাপ মুডে দেখলেই তাঁর মাথা গরম হয়ে যেত। এ দিকে হেমার দাবি, সকালে ঘুম থেকে উঠে তাঁর চোখমুখের অবস্থা তেমনই থাকত। তাঁর মনখারাপ না হওয়া সত্ত্বেও ধর্মেন্দ্র নাকি ভাবতেন, তিনি খারাপ মুডে রয়েছেন। ওই সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘‘কিছু নায়কদের সঙ্গে যে ভাবে ছবি তোলে হেমা, আমি সেটা পছন্দ করি না।’’ সঙ্গে সঙ্গে হেমা উত্তর দেন, ‘‘আর নিজের বেলায়? আমার যেন সব পছন্দ! আমি তো কত নায়িকার সঙ্গে ওর কত ছবি দেখেছি! সেই বেলায়?’’ হেমার প্রশ্নে ধর্মেন্দ্রর উত্তর, ‘‘সেগুলো শুধুই ছবি, তার পিছনে অন্য কোনও গল্প নেই।’’
১৯৫৪ সালে প্রকাশ কৌরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন ধর্মেন্দ্র। দম্পতি দুই সন্তান, সানি দেওল ও ববি দেওল। ২৬ বছরের দাম্পত্যজীবনের পরে ১৯৮০ সালে হেমার সঙ্গে সংসার পাতেন ধর্মেন্দ্র। তখনও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটেননি বর্ষীয়ান তারকা। ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের পরিবারের সঙ্গে তেমন সম্পর্ক নেই হেমার। যদিও তা তিক্ততার কারণে নয়। হেমার দাবি, তিনি তাঁদের বিরক্ত করতে চান না বলেই তাঁদের বিষয়ে নাক গলান না। তবে দেওল পরিবারের চার ভাই-বোনের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ নয়। সানির ছেলে কর্ণ দেওলের বিয়েতে এষা দেওল ও অহনা দেওলকে দেখা না গেলেও সম্প্রতি সানির ‘গদর ২’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনের আয়োজন করেছিলেন এষা নিজে।