যদি 'জুজু', 'ছেলেধরা' ঘরের ভিতরেই থাকে? কোথায় নিরাপত্তা? কেবলই মায়ের গর্ভে? বন্ধ হোক কন্যাসন্তানের হেনস্থা! দাবি তুললেন বলিউড অভিনেত্রী-সাংসদ হেমা মালিনী। যে বাবা জন্ম দিয়েছেন, তিনিই যৌন হেনস্থার জন্য দায়ী। তিনিই ধর্ষক। এমন খবর তো হামেশাই কানে আসে মানুষের।
শিশুকন্যাদের হেনস্থায় সরব হেমা মালিনী।
'বাইরে বেরিয়ো না, জুজু ধরবে। বাইরে পা দিয়ো না, ছেলেধরা আছে।' শিশুরা এই কথা শুনে শুনেই অভ্যস্ত। কিন্তু যদি সেই 'জুজু', 'ছেলেধরা' ঘরের ভিতরেই থাকে? কোথায় নিরাপত্তা? কেবলই মায়ের গর্ভে? বন্ধ হোক, শিশুকন্যার হেনস্থা! দাবি তুললেন বলিউড অভিনেত্রী-সাংসদ হেমা মালিনী। যে বাবা জন্ম দিয়েছেন, তিনিই যৌন হেনস্থার জন্য দায়ী। তিনিই ধর্ষক। এমন খবর তো হামেশাই কানে আসে মানুষের। সেই ভয়াবহ অপরাধকে এ বার সেলুলয়েডে তুলে এনে সচেতনতা বাড়ানোর দিকে পা বাড়ালেন মহারাষ্ট্রের নাট্যপরিচালক সইফ হায়দার হাসান। হেমা প্রকাশ করলেন ছবিটির প্রথম ঝলক। নাম, 'ইয়েস পাপা'। প্রযোজনায় রামকমল মুখোপাধ্যায়।
২০১৭ সালে হেমার জীবনী 'হেমা মালিনী: বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল' বইটি প্রকাশিত হয়েছিল। লিখেছিলেন রামকমল। সেই থেকেই সুসম্পর্ক দুই শিল্পীর। শিশু হেনস্থা নিয়ে ছবি বানানো হয়েছে শুনে প্রচারে এগিয়ে এসেছেন 'ড্রিম গার্ল'।
‘ইয়েস পাপা’র পোস্টার।
ছবিতে হেনস্থাকারী বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা-পরিচালক অনন্ত মহাদেবন, নির্যাতিতার চরিত্রে গীতিকা ত্যাগী। এ ছাড়াও আদালতের বিচারক এবং দুই আইনজীবীর চরিত্রে দেখা যাবে দিব্যা শেঠ শাহ, তেজস্বিনী কোহলাপুরে এবং সঞ্জীব ত্যাগী। এ ছাড়াও নন্দিতা পুরী এবং হাসন জায়দিকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে।
রামকমলের কথায়, "ছ'বছর আগে সাংবাদিকতার সূত্রে পরিচালক সইফ হায়দার হাসনের সঙ্গে আলাপ হয় আমার। তখন থেকেই ওঁর কাজের ভক্ত আমি। তাঁরই ছবি 'ইয়েস পাপা'। এই ছবিটি মানুষকে ভাবতে বাধ্য করবে। এই গল্পটি যে আসলে কতটা সত্য এই সমাজের কাছে, তা বোঝা যাবে। ফলে মানুষ দেশের নাগরিক হিসেবে আরও সচেতন হবেন বলে আশা করছি।"