কখনও হলিউড, তো কখনও ঘরের কাছেই দক্ষিণ ভারতের কোনও ছবি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বলিউডের একাধিক ছবি তৈরি হচ্ছে। ঠিক তেমনই, জানেন কি পাকিস্তানের ললিউড আবার বলিউডের হুবহু নকল ছবি বানিয়ে থাকে!
পাকিস্তানের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ললিউড ছবি বলা হয়। ললিউডের ধারাবাহিক থেকে বড়পর্দার একাধিক ছবির সঙ্গে বলিউডের প্রচুর মিল রয়েছে। বলিউডের থেকে কাহিনি ধার নিয়ে ললিউডে কী কী ছবি হয়েছে দেখে নিন
বিলাসবহুল জীবনের স্বপ্ন দেখা স্ত্রী স্বপ্নপূরণের জন্য স্বামীকেও বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন বসের মেয়ের কাছে। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবি বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছিল। ছবির নাম ‘জুদাই’। অভিনয় করেছিলেন অনিল কপূর, শ্রীদেবী এবং উর্মিলা মাতণ্ডকর।
সম্প্রতি টিভির পর্দায় শেষ হওয়া পাক ধারাবাহিক ‘মহব্বত তুঝে আলবিদা’-র চিত্রনাট্যও হুবহু মিলে যায় ওই বলি ছবির সঙ্গে। এখানেও স্বপ্নপূরণ করতে এবং চটজলদি অনেক টাকা উপার্জন করতে স্বামীকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রী। ২০২০-র ১৭ জুন থেকে সম্প্রচার শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিকের। ২০২১-এর ১৩ জানুয়ারি শেষ পর্ব সম্প্রচারিত হয়।
‘সারাভাই ভার্সস সারাভাই’। দারুণ জনপ্রিয় একটি হিন্দি ধারাবাহিক। ২০০৪ সালের ১ নভেম্বর প্রথম সম্প্রচারিত হয়েছিল। পারিবারিক বিবাদ নিয়ে এগিয়েছে এই কমেডি সিরিয়ালের চিত্রনাট্য।
এ দিকে পাক ধারাবাহিক ‘চনা জোর গরম’-এর চিত্রনাট্যও হুবহু মিলে যায় ‘সারাভাই ভার্সস সারাভাই’-এর সঙ্গে।
শাবানা আজমি, স্মিতা পাটিল, কুলভূষণ খরবান্দা এবং রাজ কিরণ অভিনীত হিন্দি ছবি ‘অর্থ’। পরিচালক ছিলেন মহেশ ভট্ট। ১৯৮২ সালের এই ছবির বক্স অফিস সংগ্রহ ছিল দু’কোটি টাকা।
২০১৭ সালে পাকিস্তানে মুক্তি পায় ‘অর্থ: দ্য ডেস্টিনেশন’ ছবি। রোম্যান্টিক ছবি। এই ছবি যদি কেউ দেখে থাকেন তা হলে মনে হবে ৩৫ বছর পর যেন ‘অর্থ’-এরই রিমেক দেখছেন।
পরিচালক মনসুর খানের ১৯৯৫ সালের জনপ্রিয় ছবি ‘আকেলে হম আকেলে তুম’। নায়ক-নায়িকার নামজাদা গায়ক হয়ে ওঠার স্বপ্ন, তাঁদের সংসার এবং তারপর সংসারের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে দু’জনের মধ্যে বিবাদ। এই নিয়েই তৈরি হয়েছিল রোম্যান্টিক ছবিটি। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন আমির খান এবং মনীষা কৈরালা।
২০১৪ সালে পাকিস্তানে সম্প্রচারিত হওয়া ‘কোই নেহি আপনা’-র চিত্রনাট্যও সেই নিয়েই। এখানেও সেই দু’জন উঠতি গায়ক-গায়িকা স্বপ্ন, পরিবার, বিচ্ছেদ ইত্যাদি নিয়েই এগিয়েছে চিত্রনাট্য।
সুপারহিট ছবি ‘দামিনি’। রাজকুমার সন্তোষি পরিচালিত এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সানি দেওল, ঋষি কপূর এবং মিনাক্ষী শেষাদ্রিকে। এক ধর্ষিতার ন্যায়বিচার পাওয়ার গল্প নিয়ে এই ছবি।
আর ‘চিখ’ হল পাকিস্তানের ক্রাইম-ড্রামা টেলিভিশন সিরিজ। ২০১৯ সালে প্রথম সম্প্রচারিত হয়েছিল এটি। ‘দামিনি’ ছবির গল্পই যেন ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে এই সিরিজে।
দেশভাগের কয়েক বছরের মধ্যে মোহন সেগলের ছবি ‘অউলাদ’ মুক্তি পায় বলিউডে। ঊষা কিরণ, নিরূপা রায় প্রমুখ অভিনেতাদের পর্দায় দেখা গিয়েছিল।
ওই ছবির এক বছর পর পাকিস্তানি পরিচালক অতাউলাহ হাসমি ‘নকর’ ছবি তৈরি করেন। এটিও আসলে ওই হিন্দি ছবির রিমেক ছিল।
প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এবং রণবীর কপূর অভিনীত ‘বরফি’ ছবি মুক্তি পায় ২০১২ সালে। অটিস্টিক প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে মূক-বধির রণবীরের প্রেম নিয়ে এই গল্প।
পাকিস্তানি ধারাবাহিক ‘নাজো’ যদি কেউ দেখে থাকেন তা হলে বুঝতে অসুবিধা হবে না এটি এই বলিউড ছবির চিত্রনাট্য ধার করেই বানানো হয়েছে।