ভাইজানের কাছে তার আদরের নাম ‘পাগল’। ‘বজরঙ্গি ভাইজান’এর শুটিংয়ের অবসরে সবথেকে বেশি সময় তার সঙ্গেই কাটাতেন সলমন খান। তার সঙ্গে সম্পর্ক এতটাই গভীর ছিল যে শুটিংয়ে সলমন কান্নার দৃশ্যে অভিনয় করলে সে-ও কেঁদে ভাসাত। সল্লু মিঞার জীবনে কে এই নবাগতা? সে হল সাত বছরের ‘মুন্নি’। ‘বজরঙ্গি ভাইজান’এর শিশুশিল্পী হর্ষালি মলহোত্র। শুটিংয়ে তার সঙ্গে কখনও বার্বি গেম, কখনও টেবিল টেনিস খেলেছেন সলমন।
এর আগে সুরজ বারজাতিয়ার ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’র জন্য ডাক পেয়েছিল হর্ষালি। ফটোশুট হয়ে যাবার পর ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর অফার পায় সে। সে সময় সলমন নিজেই বলেছিলেন, ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’র তুলনায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর চরিত্রটি হর্ষালির জন্য বেশি উপযুক্ত। সে কথা যে ফেলনা নয় তার প্রমাণ দিচ্ছে ছবিটি মুক্তির পর দর্শকদের উচ্ছ্বাস।
ছবিতে ফুটফুটে মুন্নি হারিয়ে গেছে ভারতে। সে কথা বলতে পারে না। কিন্তু তার না বলা কথাই পড়ে ফেলেছেন দর্শকরা। মুন্নিকে তার দেশে, তার হারিয়ে যাওয়া ঠিকানায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন সলমন খান। ‘বজরঙ্গি ভাইজান’এ এ ভাবেই সকলের মন কেড়েছে হর্ষালি। যে ছবি ইতিমধ্যেই রেকর্ড ব্যবসা করেছে। এক সপ্তাহে যার কালেকশন ১৮৪.৬২ কোটি টাকা। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এটি প্রথম ছবি যা এক সপ্তাহে এত টাকার ব্যবসা করেছে।
তা, এর পরে কী করতে চলেছে ছোট্ট এই নায়িকা? অনেক চরিত্রের জন্যই এখন অফার পাচ্ছে হর্ষালি। তবে তার মা জানিয়েছেন, ‘‘অভিনয় আমার মেয়ের প্যাশন। তা যেন কখনও ওর জীবনে প্রেশার না হয়ে যায় সেটা আমি দেখব।’’ ফলে চরিত্রের গুরুত্ব বুঝে ফের অভিনয় করবে সলমনের ‘পাগল’।