অনেক অভিনেতা যেমন তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে রাখতে চান, গুলশন তেমনটা নন। ছবি: সংগৃহীত।
বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেলেও স্বামী-স্ত্রীর নিবিড় সখ্য অনেক সময় নষ্ট হয় না। ‘দহাড়’-এর অভিনেতা গুলশন দেভাইয়ারও হয়নি। প্রাক্তন স্ত্রী এখনও তাঁর প্রিয় বন্ধু, ডেটে গেলে তাঁকে বলে যান। ভেঙে যাওয়া দাম্পত্যের পরও সম্পর্ক যে কত মধুর, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে খোলসা করলেন গুলশন।
অনেক অভিনেতা যেমন তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে রাখতে চান, গুলশন তেমনটা নন। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘‘বিয়ে ভেঙে যেতে পারে, কিন্তু সম্পর্ক কখনও ভাঙে না।’’
গুলশনের আরও বললেন, “আমি ভাগ্যবান। আমার স্ত্রী কাল্লিরোই জ়িয়াফেতাকে সমান কৃতিত্ব দেব সব ভাল জিনিসগুলোকে ধরে রাখার জন্য। সমাজের কাছে আমরা কোনও উদাহরণ হতে চাইনি।”
মানুষে মানুষে সংযোগ সতেজ রাখা শক্ত ব্যাপার নয়, জানান গুলশন। তাঁর দাবি, “আমরা এখনও নিজেদের সময় দিই। ও এখন আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু। আমি ওকে সব কিছু বলতে পারি। আমি ডেটে গেলে ওকে বলে যাই, ও একই জিনিস করে আমার সঙ্গে। কখনও কখনও ওকে মিস্ করি। আমি নিশ্চিত, সেটা ওর ক্ষেত্রেও ঘটে।”
গুলশনের নতুন ছবি ‘এইট এএম মেট্রো’তেও ধরা পড়েছে সুক্ষ্ম জীবনবোধ। অনেকেই এই ছবিকে ইরফান খান অভিনীত ‘লাঞ্চবক্স’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। যদিও গুলশনের দাবি, এই তুলনা ন্যায্য নয়। দুই অপরিচিত মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া রোম্যান্স এবং নাটকীয়তাই ‘এইট এএম মেট্রো’ ছবির উপজীব্য। ‘লাঞ্চবক্স’-এর কাহিনিও তা-ই, তবু দু’টি ছবি সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের বলেই মনে করছেন গুলশন।
‘এইট এএম মেট্রো’ ছবির পরিচালক রাজ রাচাকোণ্ডা। হায়দরাবাদে শুটিং হয়েছে ছবিটির। এর আগেও গুলশন কাজ করেছেন সইয়ামি খেরের সঙ্গে, ‘আনপজ়ড’ সিরিজ়ে।
পরস্পরের গুণমুগ্ধ তাঁরা। গুলশন তাঁর উদ্দেশে লিখেছিলেন, “কখনও তোমার খারাপ সময় এসেছে, কখনও আমার। তখনও আমরা পরস্পরের খেয়াল রেখেছি। তোমার মতো সহ-অভিনেত্রী পাওয়া সত্যিই দারুণ ব্যাপার।”