দুরন্ত গতিতে চলছিল গাড়িটি। ঘটনাস্থল গোয়ার মাপুসা। স্থানীয় বোধগিনি মন্দিরের সামনে গাড়িটির সামনে এসে পড়ে বছর সতেরোর এক নাবালিকা কিশোরী। গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় কিশোরীটি। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন গায়ক রেমো ফার্নান্ডেজের ছেলে জোনাহ ফার্নান্ডেজ। রেমোর বিরুদ্ধে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন জখম কিশোরীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তার জেরেই গায়ককে সমন পাঠিয়েছে গোয়া পুলিশ। এই চাপানউতোরের জেরেই আপাতত সরগরম আরব সাগরের তীরের ছোট্ট রাজ্যটি।
কী ঘটেছিল?
গত ১ ডিসেম্বর বোধগিনি মন্দিরের সামনে রেমোর ছেলের গাড়ির ধাক্কায় জখম হয় কিশোরীটি। সেই থেকে গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। অভিযোগ, গত শুক্রবার ১৮ ডিসেম্বর কিশোরীটি যে ওয়ার্ডে ভর্তি আছে সেই ১০৫ ওয়ার্ডে গিয়ে জখম কিশোরী এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন রেমো। নাবালিকার আইনজীবী এরিস রডরিগস জানিয়েছেন, ওই নাবালিকা এবং তাঁর পরিবারের লোকেদের অপমান করেন রেমো। এর পরই মাপুসা থানায় রেমোর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ওই কিশোরীর পরিবার। রক গায়কের ছেলের বিরুদ্ধেভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ এবং ৩৩৮ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বছর বাষট্টির রেমো ফার্নান্ডেজের বিরুদ্ধে চাইল্ড অ্যাক্টে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সোমবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে রেমো বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে প্রতিটা অভিযোগই ভিত্তিহীন। আমাকে মানহানি করার জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটা করা হয়েছে।’