পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।— ফাইল চিত্র।
সত্যজিত রায়ের ফেলুদা সিরিজের গল্পগুলোর টেলিভিশন স্বত্ব কিনে এনেছে বাংলাদেশের ক্যান্ডি প্রোডাকশন নামের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান । সেই গল্প থেকে ৩৫টি নাটক তৈরি করবে ক্যান্ডি, তার একটি নাটকে ফেলুদার চরিত্রে অভিনয় করবেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। সেই খবর বাংলাদেশের প্রকাশ্যে আসার পর বিনা অনুমতিতে কাজের অভিযোগ এনে পরমব্রতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন টিভি-সংশ্লিষ্ট ১৩টি সংগঠনের জোট 'এফটিপিও'র সদস্য সচিব ও ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি এবং গাজী রাকায়েত। নিয়ম না মেনে বাংলাদেশি নাটকে অভিনয়ের অভিযোগে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাকায়েত।
আরও পড়ুন, সোনিকা মৃত্যুকাণ্ডে দায়ী কে? ‘জানা যাবে’ এ বার
থানায় লিখিত অভিযোগে গাজী রাকায়েত লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় অভিনেতা ও পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে ছবি তৈরি করছে ক্যান্ডি প্রোডাকশন নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।’’ এ দিকে ক্যান্ডি প্রোডাকশনের প্রধান শাহরিয়ার শাকিল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘গত ১২ জুলাই সরকারি কাগজপত্র পাওয়ার জন্য তথ্যমন্ত্রণালয়ে আমরা আবেদন করেছি। অনুমোদনের কাগজপত্র এখনও হাতে পাইনি। তবে আশা করি অল্পকিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাব। কাগজ পাওয়ার আগে আমরা তো শুটিং করিনি।’’
আরও পড়ুন, কাজ চাইছেন নীনা গুপ্তা, ইঙ্গিত কি সেই নেপোটিজমের দিকেই?
গাজী রাকায়েত সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘বেশ কয়েকবছর ধরেই অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে বাংলাদেশের টেলিভিশন মাধ্যমে শুটিং সহ নানাবিধ কারিগরি বিষয়ে কার্যপলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন বিদেশী শিল্পীরা। তাদেরকে সহযোগিতা করছেন বাংলাদেশি কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। কোনও বিদেশী শিল্পী বাংলাদেশে কাজ করতে চাইলে বা তাকে দিয়ে করানো হলে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যেই করতে হবে। অবৈধভাবে কাজ করাটা আমরা মেনে নেব না। পরমব্রত অনেক গুণী শিল্পী। তাঁকে বাংলাদেশ চায়। এটা শুধু পরমব্রতর বিরুদ্ধে না। আমরা পুরো সিস্টেমের বিরুদ্ধে এই জিডি করেছি।’’ যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত পরমব্রতর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।