‘গ্যাংস্টার’ শ্যামলের চরিত্রে মোশারফ করিম। ছবি: সংগৃহীত।
কখনও দলবল নিয়ে বন্দুক হাতে তিনি পাড়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কখনও রাতের অন্ধকারে এক মহিলার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, কখনও আবার অপরাধ জগতের কাজকর্ম সামলাচ্ছেন। ‘গ্যাংস্টার’ শ্যামলের জীবন ছিল এমনই। হুগলির অপরাধ জগতের অন্যতম নক্ষত্র। এই শ্যামলের জীবনকে কেন্দ্র করে নতুন ছবি ‘হুব্বা’ তৈরি করেছেন পরিচালক ব্রাত্য বসু। ‘ডিকশনারি’র পর আবারও ব্রাত্যের ছবিতে দেখা যাবে অভিনেতা মোশারফ করিমকে। এই ছবিতে অভিনেতার প্রথম ‘লুক’ দেখে চমকে গিয়েছিলেন দর্শক। আনন্দবাজার অনলাইনেই প্রথম প্রকাশ্যে এসেছিল ‘হুব্বা’র প্রথম লুক। এ বার প্রকাশ্যে ছবির প্রথম ঝলক। আনন্দবাজার অনলাইনেই প্রথম বার ‘হুব্বা’ হিসাবে প্রকাশ্যে এলেন অভিনেতা।
সিনেমার প্রতি পরত যে উত্তেজনা, রোমাঞ্চে ভরপুর, সেই আভাসই মিলল ছবির প্রথম ঝলকে। গলায় গাঁদা ফুলের মালা পরে প্রথম বার হুব্বার বেশে মোশারফকে দেখা গিয়েছিল।
এই ছবিতে দেখা যাবে বেশ কয়েক জন নাট্যব্যক্তিত্বকেও। আনন্দবাজার অনলাইনকে পরিচালক ব্রাত্য বলেছিলেন, “থ্রিলার এবং কমেডির মিশেলে তৈরি করা হয়েছে এই ছবি। হুব্বা শ্যামল ‘হুগলির দাউদ ইব্রাহিম’ নামেই পরিচিত ছিলেন। খুন, জখম, ড্রাগ পাচারের মতো বহু অপরাধে অপরাধী। অজস্র পুলিশ কেস ছিল তাঁর নামে। এক সময় তিনি ভোটে দাঁড়াতেও চান। যত বারই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, প্রতি বারই জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন। ২০১১ সালে বৈদ্যবাটির খালে হুব্বা শ্যামলের মৃতদেহ ভেসে ওঠে। এই ছবির মাধ্যমে আমি পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অপরাধ জগতের চিত্রই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।”
‘হুব্বা’ ছবিটি প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে ফিরদৌসল হাসানের প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস্ কমিউনিকেশন’। ব্রাত্য এবং ফিরদৌসল জুটিকে আগেও দর্শক দেখেছে। প্রযোজক-পরিচালক জুটির এটি দ্বিতীয় ছবি। আনন্দবাজার অনলাইনকে প্রযোজক বললেন, “আমি বিশ্বাস করি, ভাল ছবি তৈরি হয় শুধুমাত্র বড় পর্দার জন্যই। বিশেষত ‘অপরাজিত’-র পর আমার দর্শক সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছেন। আর ‘ডিকশনারি’-র পর ব্রাত্যর সঙ্গে আমার এটা দ্বিতীয় কাজ। একটা ছবি তৈরির জন্য ব্রাত্য যে পরিমাণ পড়াশোনা করেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আশা করছি, দর্শক আমাদের এই দ্বিতীয় কাজও পছন্দ করবেন। এই ছবিতে রয়েছে বেশ কিছু চমকও।”