‘রাঙা বউ’ সিরিয়ালের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
শনিবারের বিকেল। প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোড ধরে পর পর গাড়ি চলছে। তার মধ্যেই একের পর এক শট দিয়ে যাচ্ছে পাখি। নবীনা সিনেমার সামনে সারি সারি মাথা। কুশ আর পাখির শট দেওয়া দেখছে। টানটান উত্তেজনা চলছে ‘রাঙা বউ’ সিরিয়ালে। জ্যাঠা তরুণজ্যোতি শীল বাড়িছাড়া। মাঝরাস্তায় আচমকাই জ্যাঠাকে দেখতে পায় পাখি। যদিও পরে আর জ্যাঠাকে খুঁজে পায় না সে। এমন উদ্বেগপূর্ণ দৃশ্যেকে কী ভাবে সাজাবেন পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার? গায়ে জ্বর নিয়েও সে কথাই ভেবে যাচ্ছেন। সিরিয়ালের গল্পের নতুন মোড় আগ্রহ বাড়িয়েছে দর্শকের। সেই প্রমাণ মিলেছে টিআরপি তালিকায়। তবে বিষয়বস্তুর পাশাপাশি এই সিরিয়ালের সাফল্যের নেপথ্যে অন্য ধারণাও সমাজমাধ্যমে চোখে পড়েছে।
‘রাঙা বউ’ সিরিয়ালের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
অনেকেরই ধারণা, টিআরপি তালিকায় সিরিয়ালের নম্বর বাড়ার আরও একটি কারণ হল নাকি পরিচালক স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে নায়িকা শ্রুতি দাসের বিয়ে। যদিও এই বক্তব্য মানতে নারাজ অভিনেত্রী। শটের ফাঁকে আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্রুতি বললেন, “আমার মনে হয় এখন সিরিয়ালের গল্পের নতুন মোড়ই দর্শকের আরও আগ্রহ বাড়িয়েছে। আমার বিয়েটা তো সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত জীবনের অংশ।” সিরিয়ালের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, মানসী সিন্হা-সহ আরও অনেককে। শ্রুতি বললেন, “আমাদের টিমটা খুবই ভাল। আমাদের সকলের বন্ধুত্বপূর্ণ সমীকরণটাও মনে হয় পর্দায় সুন্দর ফুটে উঠছে।” অনেক সময় ক্যামেরার নেপথ্য সম্পর্কই পর্দার রসায়নকে আরও ঘনীভূত করে। এই সিরিয়ালের ক্ষেত্রেও সে রকমই হচ্ছে বলে মনে করছেন অভিনেত্রী।
কাজ করতে করতেই জ্যাঠার সঙ্গে অন্য ধরনের বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে কুশ ওরফে অভিনেতা গৌরব রায়চৌধুরীর। জ্যাঠা বিশ্বজিৎ হলেন তাঁর ‘রুম পার্টনার’। দিনের মধ্যে প্রায় ১৪ ঘণ্টা স্টুডিয়োর একই মেকআপ রুমে কাটান তাঁরা। ফলে সারা দিনের টুকিটাকি সবটাই একসঙ্গে। সেখানে বসে আড্ডার আসর। সেই প্রসঙ্গ টেনে বিশ্বজিৎ বললেন, “আসলে আমাদের আরও জমে, কারণ আমরা দু’জনেই খেতে ভালবাসি।” সঙ্গে সঙ্গে গৌরবের পাল্টা উত্তর, “খাওয়াদাওয়া তো আছেই, সঙ্গে দাদার থেকে পুরনো দিনের থিয়েটার, সিনেমার প্রচুর অজানা ইতিহাস জানতে পারি। তাই বিশ্বজিৎদার সঙ্গে সময় কাটাতেও আমার বেশ ভাল লাগে।” ব্যক্তিগত সমীকরণই যে তাঁদের সিরিয়ালকে আরও এগিয়ে দিচ্ছে, এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত গৌরব।